এই মুহূর্তে কলকাতা

জয়ন্ত জেলবন্দি থাকা সত্ত্বেও পুরানো ভিডিও সামনে এনে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা সরকারের- আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা, ১১ জুলাই:- আড়িয়াদহকাণ্ডে অভিযুক্ত জয়ন্ত সিংহ চিহ্নিত অপরাধী। ২০১৬ সাল থেকে পাঁচটি আলাদা মামলায় গ্রেফতার হয়েছে সে। এখনো জয়ন্ত জেলবন্দী। তা স্বত্বেও তিন আসনে উপনির্বাচনের আগে তিন বছরের পুরনো একটি ভিডিও সামনে এনে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। যা দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য় উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের আইনশৃঙ্খলা বিভাগের এডিজি মনোজ বর্মা। সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বলেন, “সব নিগ্রহের ঘটনাই সমান নিন্দনীয়। যে জয়ন্ত সিংহের কথা বলা হচ্ছে, তিনি কিন্তু একাধিক বার গ্রেফতার হয়েছেন। ২০১৬ সাল থেকে রাজ্য পুলিশের হাতে পাঁচটি মামলায় পাঁচ বার গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছেন, জয়ন্ত উপদ্রবকারী হিসেবে আগেও চিহ্নিত হয়েছেন। বারং বার বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন।” এদিন আলাপন জানান, একটি সাধারণ জমি বিবাদকে রাজনৈতিক বিবাদ বলে দেখানো হচ্ছে।

রাজ্য সরকার পরিষ্কার জানাচ্ছে, জমি বিবাদটি, জমি বিবাদই। এডিজি বর্মা জানান, খাতড়ায় আসলে দুই প্রতিবেশির মধ্যে জমি বিবাদ ছিল। একজন গাছ কাটতে গেলে অশান্তি বাধে, তাতে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এক জনের মৃত্যু হয়। ওই দিনই মামলা দায়ের হয় এবং ওই দিনই তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অথচ সোশ্য়াল মিডিয়ায় অপপ্রচার চলছে এগুলি নিয়ে। জয়ন্তদের বিরুদ্ধে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে, তাও জানতে চাওয়া হয় এডিজি বর্মার কাছে। তিনি জানান, পরিস্থিতি একটু এদিক ওদিক হতে দেখলেই কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে কোনও রকম আপস করা যাবে না বলেই নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেও মামলা দায়ের করে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা ভাঙলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। জয়ন্তকে নিয়ে প্রথম যে ভিডিওটি সামনে আসে, সেই নিরিখে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান এডিজি বর্মা। জয়ন্তর গ্রেফতারিতে সৌগত রায় যে হুমকি ফোন পেয়েছেন, তা নিয়েও তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি। আইনশৃঙ্খলা হাতে তুলে নেওয়া নিয়ে এডিজি বর্মা জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে উচ্চ পর্যায়ে। সেই মতো পদক্ষেপের নির্দেশও পেয়েছেন তাঁরা।