এই মুহূর্তে কলকাতা

দুই যুযুধান রাজনৈতিক দলের পদযাত্রা দিয়ে শেষ হলো সপ্তম দফার নির্বাচনী প্রচার।


কলকাতা, ৩০ মে:- লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেষ হলো নির্বাচনী প্রচারের পালা।আর এই শেষ দিনে প্রচারের যবতীয় আলো শুষে নিতে মাঠে নামলেন যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরের তারকা প্রচারকরা। প্রচারের শেষ দিনে দীর্ঘতম ১২ কিলোমিটার পদযাত্রায় অংশ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা দক্ষিণের যাদবপুর সুকান্ত সেতু থেকে শুরু হয়ে তা শেষ হয় গোপালনগর ক্রসিংয়ে। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, ল্যান্সডাউন, পদ্মপুকুর, যদুবাবুর বাজার, হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে যায় সেই পদযাত্রা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার শেষ করেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রেই। মহেশতলা বিধানসভা এলাকায় রোড শো-এর পর তিনি বক্তব্যও পেশ করেন। মহেশতলার বাটা মোড় থেকে ডাকঘর পর্যন্ত হয় সেই রোড শো। এর আগে, ফলতা বিধানসভার জোড়া বটতলা থেকে নতুন রাস্তার মোড় পর্যন্ত রোড শো করেন অভিষেক। পিছিয়ে ছিলনা প্রধান বিরোধী বিজেপিও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন চারটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। সকালে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী স্বপন মজুমদারকে নিয়ে বিধাননগরে রোড শো। এরপর বসিরহাটের লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রেখা পাত্রের সমর্থনে বসিরহাট বিএসএসএ ময়দানে বিজয় সংকল্প সভায় যোগ দেন। থেকে চলে যান দক্ষিণ কলকাতায়।

দেশপ্রিয় পার্ক থেকে কলকাতা দক্ষিণের প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর সমর্থনে বিজেপি যুব মোর্চার রোড শো-এ অংশ নিয়েই তিনি ছোটেন উত্তর কলকাতায়। দলীয় প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে রোড শো-ই ছিল এবারের লোকসভা নির্বাচনে শুভেন্দুর শেষ প্রচার কর্মসূচি। প্রচারের দৌড়ে এপর্যন্ত কোন দলের তারকারা কত সভা, পদযাত্রা করেছেন তারও তালিকা তৈরি। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয়েছে, ৩১ মার্চ মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর, অভিষেক মথুরাপুর থেকে। মুখ্যমন্ত্রী সবমিলিয়ে এ রাজ্যে ১০৭টি জনসভা ও রোড শো বা পদযাত্রা করেছেন। এ ছাড়া তিনি অসমের শিলচরেও একটি জনসভা করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় আজ অবধি ৭২টি জনসভা ও রোড শো করলেন। ফলে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও অভিষেক বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে মোট জনসভা ও রোড শো করেছেন ১৭৯টি। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী ১৪৮টি জনসভা, রোড শো-সহ প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেন। শুভেন্দু এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রচার শুরু করেছিলেন ১৬ মার্চ শ্রীরামপুর থেকে। ২৬ মে রেমালের কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রচার কর্মসূচি বাতিলের পথে হাঁটেন। সেদিন শুভেন্দুর তিনটি প্রচার কর্মসূচি বাতিল হয়।