এই মুহূর্তে জেলা

ঠান্ডা পানীয়র মধ্যে মাদক খাইয়ে সর্বস্ব লুট চন্দননগরে।


হুগলি, ২৫ মে:- ঠান্ডা পানীয়র মধ্যে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে পালালো দুষ্কৃতী। ঘটনাটি চন্দননগর মহাকুমা হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে অপরিচিত এক ব্যক্তি এসে রোগীর পরিবারের ব্যক্তিদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে তাদেরকে ফ্রুটির সঙ্গে মাদক মিশিয়ে অবচেতন করে তাদের থেকে মোবাইল ফোন টাকা পয়সা সবকিছু নিয়ে চম্পট দেয় চোর। পরিবার সূত্রে খবর, চাপদানীর বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম ওয়া আখতার আলী তাদের বাড়ির মহিলা অন্তঃসত্তা থাকার জন্য চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রাতে তার বাড়ির লোক হাসপাতালের বাইরেই ছিলেন জরুরী পরিষেবার জন্য। সেখানে এক অচেনা ব্যক্তি তাদের সঙ্গে এসে বন্ধুত্বের অছিলায় তাদেরকে একটি ফ্রুটির পেট্রাপ্যাক খাওয়ায়। তারপর থেকেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন সকলে। সেই সুযোগেই দুষ্কৃতী সর্বস্ব লুট করে নিয়ে পালায় তাদের থেকে এমনটাই অভিযোগ পরিবারের তরফে। এই বিষয়ে পরিবারের এক সদস্য আবুল হোসেন তিনি বলেন, সকালবেলা তাদের পরিবারের লোকজনদেরকে ফোন করা হচ্ছিল তখন তারা কেউ ফোন ধরেন নি তারপরেই তারা হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়ে দেখেন তাদের পরিবারের লোকজন অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছেন।

তৎক্ষণাৎ তারা চন্দননগর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের কথা অনুযায়ী, রাত তিনটে সাড়ে তিনটে নাগাদ সেই অচেনা ব্যক্তি তাদের কাছে আসে এবং সেখানে তাদেরকে বন্ধুত্বের অছিলায় সেই মাদক খাইয়ে তাদের থেকে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে পালায়। এই বিষয়ে আক্রান্ত পরিবারের এক সদস্য তরুণ দে তিনি বলেন, তারা হরিপালের বাসিন্দা। সেখান থেকে এসেছিলেন চিকিৎসা করাতে। তার কাছে মোট ৭ হাজার টাকা ছিল অছিলায় তাদেরকে মাদক মিশ্রিত কোলড্রিংস খাইয়ে সমস্ত টাকা লুট করে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতিরা। এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপার সান্টু ঘোষ তিনি বলেন, বারংবার রোগীদের পরিবারদেরকে বারণ করা হয় এই ধরনের অচেনা ব্যক্তিদের থেকে কোনো রকম খাবার না নিতে তারপরেও তারাই ভুল করে বসে। পুলিশের কাছে তিনি আবেদন জানাচ্ছেন যাতে তিনটি শিফটে পুলিশ সেখানে টহলদারি করে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর ভবিষ্যতের না ঘটতে পারে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা গোপাল চৌবে তিনি বলেন, একই রকম ঘটনা বারংবার ঘটে চলেছে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসিটিভির অভাব রয়েছে। এই ধরনের নাশকতামূলক কাজ এবং দুষ্কৃতীমূলক কাজের আখড়া হয়ে উঠছে হাসপাতাল চত্বর সাধারণ মানুষ এদের জন্য আতঙ্কিত।