কলকাতা, ১৩ মে:- ভালোয় ভালোয় উতরে গেল চতুর্থ দফাও। বিক্ষিপ্ত কিছু গোলমাল যদিও হয়েছে। তবে মোটের উপর এদিন রাজ্যের আট লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ মিটেছে শান্তিপূর্ণ ভাবেই। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে গড়ে ৭৫.৬৬ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে,এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত বহরমপুরে ভোট পড়েছে ৭৫.৩৫ শতাংশ। কৃষ্ণনগরে ৭৭.২৯ শতাংশ, রানাঘাটে ৭৭.৪৬ শতাংশ, বর্ধমান পূর্বে ৭৭.৩৬ শতাংশ, বর্ধমান-দুর্গাপুরে ৭৫.০২ শতাংশ, বোলপুরে ৭৭.৭৭ শতাংশ এবং বীরভূমে ৭৫.৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কম ভোট পড়েছে আসানসোল আসনে। আসানসোলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৯.৪৩ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটের হিসাব দিলেও ভোট গ্রহণ চলেছে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তার পর চূড়ান্ত পরিসংখ্যান মঙ্গলবার জানাবে নির্বাচন কমিশন। তবে চতুর্থ দফাতেও পূর্বের তুলনায় কম ভোট পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত লোকসভা ভোটে বহরমপুরে মোট ভোটারের ৭৯.৪১ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন। কৃষ্ণনগরে ভোটার টার্ন আউট ছিল ৮৩.৭৫ শতাংশ। বর্ধমান পূর্বে গতবার ৮৪.৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল, বর্ধমান দুর্গাপুরে ভোট পড়েছিল ৮২.৬৭ শতাংশ। গত বার আসানসোলে ভোট পড়েছিল ৭৬.৬২ শতাংশ। আর বোলপুর ও বীরভূমে ৮৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল। কমিশনের মতে, সেই শতাংশের হিসাবে খুব বেশি হেরফের হবে বলে মনে করা হচ্ছে না। মোটের উপর ভোট প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ হলেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বীরভূম ও বর্ধমান দুর্গাপুরে এদিন কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটে। বর্ধমানের মন্তেশ্বরে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। তার কনভয়ে কিছু গাড়ির কাচ ভাঙা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, ভোটের দিন সকাল থেকে কোথাও এক দলের সমর্থকদের বিপক্ষের কর্মীদের মারধর, বুথ এজেন্টদের না ঢুকতে দেওয়া, এমনকি ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টার মতো একাধিক ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের কাছে সকাল ১১টার মধ্যেই এক হাজারেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমে বাড়তে থাকে এই সংখ্যা। বেলা আড়াইটের মধ্যে সেটি পৌঁছায় ১ হাজার ৭০৫ এ।বহরমপুরের কিছু এলাকায় বুথ দখল ও ছাপ্পা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। তা ছাড়া রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ভোট শেষের পর সাংবাদিকদের জানান,এদিন বোটে গোলমাল পাকানোর অভিয়োগে মোট ৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযগের প্রেক্ষিতে দুইজন প্রিসাইডিং অফিসারকে পরিবর্তন করা হয়েছে। পরেরে দপা গুলোতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিমাণ আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পঞ্চম দফায় ৭৬২ কোম্পানি পরের দফায় কেন্দ্রিয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে । ষষ্ঠ দফায় বাহিনী থাকবে ১০২০ কোম্পানির বেশি।