মালদা, ৩০এপ্রিল:- রবিবারের পর পুনরায় মঙ্গলবার মালদায় নির্বাচনী প্রচারে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রথম জনসভাটি করেন মালদা উত্তরের প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জির সমর্থনে চাঁচল বিধানসভার তুলসীহাটার বীরেন্দ্র কুমার মৈত্র উপ-বাজার চত্বরে। দুপুর তিনটে নাগাদ বক্তব্য শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী।প্রখর দাবদাহকে উপেক্ষা করে সভাস্থলে কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বসার জন্য মূলত একটি টিনের তাবুর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার চারিধারে ব্যারিকেড।ব্যারিক্যাডের বাইরেও সেই সময় অসংখ্য কর্মী সমর্থক ছিল। মমতা বক্তব্য শুরু করতেই তারা ব্যারিকেডের উপর হামলে পড়েন। নিজের বক্তব্য থামিয়ে মহিলা কর্মী সমর্থকদের ব্যারিকেড খুলে ভেতরে ঢোকানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর পুনরায় বক্তব্য শুরু করে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপিকে। সিএএ, এনআরসি এবং ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে পুনরায় বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ বিজেপি দেশ, মানুষ, মানবিকতা সব বিক্রি করে দিয়েছে। সংবিধানকে ছিবড়ে করে দিয়েছে।মমতা দাবী করেন মোদীর নামে আর ভোট হচ্ছে না।
তাই এখন থেকেই ভয়ে বিজেপির বুক দুরু দুরু করছে।কংগ্রেস এবং সিপিএমকেও তোপ দাগেন তিনি। পাশাপাশি আবার দাবি করেন তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিকে উৎখাত করবে। যদিও গণি খান নিয়ে মমতা বক্তব্যে কিছু বলেন নি।উপস্থিত কর্মীদের আহ্বান করে মমতা বলেন এবার কি রায় বদলানো যায় না? আপনারা কি এবারও ফিরিয়ে দেবেন? আমরা তো কাজ করেছি। এমনকি কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পের টাকা আমরাই দিয়েছে।স্থানীয় ইস্যু নিয়ে বলতে গিয়ে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, মালদা এয়ারপোর্টের কথা উঠে আসে মমতার বক্তব্যে। যদিও চাঁচলের পুরসভা নিয়ে কিছুই বলেন নি তিনি। এসএসসির চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে হাইকোর্টের রায় নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। কিন্তু হাইকোর্টের রায় বহাল থেকেছে সুপ্রিম কোর্টে। বিজেপিকে চাকরি খেকো বললেও সুপ্রিম রায় নিয়ে নীরব থাকলেন তিনি।মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্রর নাম না করে মমতা প্রশ্ন করেন বিজেপি প্রার্থীর স্বামী কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তা হলে অসুবিধা হয় না।কিন্তু আমাদের বিধায়ক লাভলী মিত্রের স্বামী পুলিশ করতে হলে সমস্যা। বক্তব্য শেষে গায়ক ইন্দ্রনীল সেনের গানের সঙ্গে আদিবাসী নৃত্যে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী।