হুগলি, ২১ মার্চ:- রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পঞ্চম দিনে প্রচার আসেন বলাগড়ে। তবে তাল কাটে তার আসার আগেই। সকাল নটায় প্রার্থী আসার সময় দিলেও এসে পৌঁছান বারোটার পর। বিভিন্ন গ্রাম থেকে মহিলারা বাড়ির কাজ ফেলে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন। অপেক্ষা করতে করতে স্থানীয় নেতাদের দু চার কথা শুনিয়েও দেন। বলাগড় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে ঘিরে ক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় কর্মিদের। বলাগড় নেতৃত্বের একাংশকে নাজানিয়ে প্রার্থীর প্রচার কর্মসূচী তৈরী করা এবং হঠাৎ করে তার পরিবর্তন করা নিয়েও ক্ষোভ দেখান কর্মিরা। বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবনচন্দ্র জিউ মঠে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ রয়েছে। বৃন্দাবন জিউ এর রথ প্রায় তিনশ বছরের প্রাচীন। মঠে রাধাকৃষ্ণ, শ্রীরামের বিগ্রহ আছে।সারা বছর ভক্তদের সমাগম হয়। রথযাত্রা আর দোলের সময় সবচেয়ে বেশি ভীর হয়। সেই মঠে পুজো দেন তৃনমূলের তারকা প্রার্থী রচনা। দেশ কালী মন্দিরেও পুজো দেন।জনসংযোগ করেন গুপ্তিপাড়ায়। আজ গোটা দিন বলাগড় বিধানসভা এলাকাতেই প্রচার কর্মসূচী করবেন হুগলি লোকসভার তৃমমূল প্রার্থী।
গুপ্তিপাড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাধাগাছিতে একটি লজে কর্মিসভা রয়েছে তার। দুপুরে সোমড়া ১ পঞ্চায়েতের বাঁকিপুরে একতা ভোজে যোগ দেবেন।সেখানেই বিকালে কর্মিসভার পর রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বৃন্দাবন মঠে পুজো দিয়ে রচনা বলেন, হুগলির মানুষ যদি আমাকে ভোট দিয়ে জেতান তাহলে সংসদে প্রথম কথাই বলব বলাগড়ের ভাঙন নিয়ে। বলাগড়ের গঙ্গার ভাঙন দীর্ঘদিনের সমস্যা। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সমস্যা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। তিনি বলেন, একটা বড় কাজ কেন্দ্র সরকারের সাহায্য ছাড়া হবে না। দিদি একা কত লড়াই করবে।পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য তো দিদি লড়ছে। দিদির পক্ষে যতটা সম্ভব ততটা করেছে। তারপরও তো টাকার দরকার। কেন্দ্রীয় সরকার যদি তাকিয়ে না দেখে তাহলে কি করে সম্ভব।পাঁচ বছরে এখানকার সাংসদকে দেখা যেত না এখন প্রচারের সময় দেখা যাচ্ছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন রচনা।