হুগলি, ৫ অক্টোবর:- জেলায় এখনও বৃষ্টির পরিমাণ ত্রিশ শতাংশ কম। কিন্তু ব্যারেজের ছাড়া জলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিল আরামবাগ মহকুমায়। ফুঁসছে মুন্ডেশ্বরী। জল বাড়ছে দামোদর, দ্বারকেশ্বরেও। এই মুহূর্তে খানাকুলের রামমোহন ২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হতে শুরু করেছে মুন্ডেশ্বরী নদীর জলে। নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টিতে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে আরও। নদীর তীরবর্তী এলাকায় থাকা বেশ কয়েকটি পরিবারকে ইতিমধ্যেই সেকেন্দারপুর বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হলেও হুগলিতে এখনও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তিরিশ শতাংশ কম। তাই জলাশয়গুলো এখনও জলধারণ করতে পারছে। চাষের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জেলা কৃষি দফতর সূত্রে খবর। তবে ডিভিসির ছাড়া জলে নদীগুলো বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। নিচু এলাকায় চাষের জমিতে জল ঢুকেছে খানাকুলের দুটি ব্লকে। হুগলি জেলায় ত্রাণ শিবির রয়েছেন ৮০৪ জন। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরও তৎপর হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে খানাকুল পরিদর্শন করেন।
পরে আরামবাগ মেডিকেল কলেজে বৈঠক করেন। সিএমওএইচ বলেন, “বন্যার জলে নানা অসুখ হয়। ডায়রিয়া-জ্বরের পাশাপাশি সাপে কাটার ঘটনাও বাড়বে। আগে থেকেই সাব সেন্টারগুলোতে প্যারাসিটামল, ওআরএস মজুত করা হয়েছে। সাপে কাটার জন্য এভিএস থাকছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে। আশাকর্মীদের কাছে প্রাথমিক ওষুধ রাখা থাকছে।” চারিদিক প্লাবিত হলে যাতায়াতে সমস্যা হয়। বহুক্ষেত্রে নৌকা করে গন্তব্যে পৌঁছতে হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। সেইসব ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।