এই মুহূর্তে জেলা

ক্রিকেট স্কোরার তৈরির জন্য শিবির চুঁচুড়ায়।

হুগলি, ১৯ আগস্ট:- মাঠের বাইরে বসে প্রতিটা বল রান উইকেটের হিসাব রাখা কারো নেশা হলে সেটাকেই পেশা করা যেতে পারে, ক্রিকেট স্কোরার তৈরীর জন্য শিবির হচ্ছে চুৃঁচুড়ায়। এখন সারা বছর ক্রিকেট, দেশ বিদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। প্রচুর খেলা। ক্রিকেটারদের যেমন সুযোগ করে দিয়েছে তেমনি স্কোরিং আম্পায়ারিং এর মত প্লেয়ার্স কন্ট্রোল টিমের সদস্য হয়েও ভবিষ্যত গড়তে পারছেন অনেকে। সেই লক্ষেই চুঁচুড়া ইউনিয়ন এসি ক্লাব নতুন স্কোরারদের নিয়ে তিনদিনের শিবির করছে। চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে আজ থেকে শুরু হওয়া শিবির চলবে সোমবার পর্যন্ত। বিসিসিআই স্কোরার কৌশিক সাহা প্রয়াত হন বছর তিনেক আগে। তার হাত ধরে অনেক স্কোরার তৈরী হয়েছে। যারা এখন সিএবি বিসিসিআই এর ম্যাচে স্কোরিং করছেন।যাদের মধ্যে অন্যতম সূর্য পান্ডা। চুঁচুড়া খরুয়া বাজারে সামান্য মুদিখানা দোকানে কাজ করে দেশ বিদেশের খেলায় স্কোরিং এর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সূর্য। দুবাই এ অনুষ্ঠিত আইপিএল থেকে শুরু করে এখন প্রতিটা আইপিএল এ স্কোরার সূর্য।

চুঁচুড়া মাঠে কৌশিক সাহার কাছে স্কোরিং এ হাতে খড়ি হয় তার। এখন সূর্যকে দেখেই অনেকেই স্কোরার হতে চায়। শিবিরে যারা শিখতে এসেছেন তারাও চান ভবিষ্যতে ভালো স্কোরিং শিখে আইপিএল এর মত লিগ দেশ বিদেশের ম্যাচে স্কোরিং করতে। ইউনিয়ন এসি ক্লাবের সভাপতি বিভাস সরকার বলেন, কৌশিক আমাদের ক্লাবের সম্পাদক ছিল। তার স্মৃতিতে এই শিবির আমরা করছি। প্রায় পঞ্চাশজন নতুন স্কোরার এই শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তিনদিনের শিবিরে বিসিসিআই এর স্কোরার আম্পায়াররা শেখাবেন কি করে স্কোরিং করতে হয়। মাঠে খেলা চলার সময় আম্পায়ারের সিগন্যাল বুঝে কি করে তার সঙ্গে কি করে সম্পর্ক স্থাপন করা যায়। প্রয়োজনে বল কাউন্ট থেকে অন্যান্য বিষয়ে আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষন করা যায়। নির্ভুল স্কোরিং শিখতে হাতে কলমে শেখানোর পাশাপাশি প্রজেক্টারের মাধ্যমে শেখানো হয়। স্কোরার সূর্য পান্ডা বলেন, প্রত্যেক জেলা থেকে যেমন ক্রিকেটার উঠে আসছে সেরকম স্কোরারও উঠে আসবে এধরনের শিবির থেকে।যারা ক্রিকেট ভালোবাসেন তারা এটাকে পেশা হিসাবেও নিতে পারেন। তিনদিনের শিবির শেষে পরীক্ষার পর শংসাপত্র দেওয়া হবে।