হুগলি,৯ ডিসেম্বর:- মানুষের মৌলিক অধিকার। সরকারি পরিষেবায় সেই মৌলিক অধিকার মিললেও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে অনেক সময়ই সঠিক মেধার বহিঃপ্রকাশ ঘটে না আমাদের সমাজে। ফলে উন্নত মেধার অধিকারী হয়েও অনেক সময়ই তাঁরা সমাজের উচ্চশিখরে পৌঁছনো থেকে বঞ্চিত থাকে। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই নিজেদের অবসর সময়কে কাজে লাগাতে নেমে পড়েছে হুগলীর বৈদ্যবাটি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু মহতি উদ্যোগের মানুষ।
এই ওয়ার্ডের সুবীর ঘোষের উদ্যোগে এলাকার অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পরা পড়ুয়াদের জন্য গৃহশিক্ষকতার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। তপশিলি জাতি, উপজাতি, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকার শিশু শ্রেনী থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য রীতিমত ক্লাসঘড়ের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। সেখানে সুবীরবাবুর ডাকে সাড়া দিয়ে এলাকার স্কুল শিক্ষকরাও বিনাবেতনে গৃহশিক্ষকতার কাজ করে চলেছেন। সুবীরবাবু বলেন সমমেধার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রেই পড়ুয়ারা শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিভা প্রমান করতে পারেনা।
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় যার মূল কারন সঠিক গৃহশিক্ষকের ছোঁয়া না পাওয়া। সেকথা মাথায় রেখেই আমাদের এই প্রয়াস। সুবীরবাবুর এই ডাকে সাড়া দিয়ে অনেক মানুষই নিজেদের অবসর সময়কে কাজে লাগাতে পেরে খুশি প্রকাশ করেন। এভাবে বিনাবেতনে গৃহশিক্ষকতার সুবিধা পেয়ে খুশি পড়ুয়া সহ তাঁদের অভিভাবকরা।







