কলকাতা, ৯ এপ্রিল:- টানা চারদিন জঙ্গনমহলের জেলাগুলি ছিল রেল ও সড়কপথে গোটা রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন। পঞ্চম দিনে আংশিক ভাবে উঠল কুড়মি অবরোধ । তফশিলি অধিকারভুক্ত হতে এই বিক্ষোভ ও অবরোধের জেরে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার সাথে কলকাতা ও হাওড়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। জানা গিয়েছে, আন্দোলনের চাপে রাজ্যের মুখ্যসচিব চিঠি দেন কুড়মি সমাজের নেতাদের। অনুরোধ করা হয় গরম ও রমজানের সময় যাত্রীদের কষ্ট ভেবে দেখার জন্য। সেই অনুরোধ মানলেও তফশিলি অধিকারে অনড় কুড়মি সমাজ।মুখ্যসচিবের চিঠির পর পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশন থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন কুড়মি নেতা অজিত মাহাত। তিনি বলেন, অবরোধ তুললেও আন্দোলনে অনড় কুড়মি সমাজ। তবে রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে কুড়মিদের তফশিলি তালিকায় ফেলতে হবে।
তা না হলে ফের অবরোধে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি এসেছে কুড়মি সমাজের তরফে। তবে আন্দোলন প্রত্যাহার হয়নি পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি এবং পুরুলিয়ার কোটশিলাতে। ১৩০ ঘন্টা পেরানোর পরেও এই দু’ই জায়গায় জারি বিক্ষোভ অবস্থান।৫ দিনের মাথায় আন্দোলন পড়ল। পুরুলিয়ার কোটশিলা থেকে আন্দোলনকারীদের এক অংশ উঠে গেলেও বাকিরা অবস্থান করেন। অন্য সূত্রে খবর, ফের নতুন করে অবস্থান শুরু হয়েছে কোটশিলা স্টেশনে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতেও জারি অবরোধ, অবস্থান। অবরুদ্ধ ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। রেল লাইন পর্যবেক্ষণ করে কুস্তাউরে আরপিএফ টহল দিতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, খেমাশুলিতে পুলিশকে ঘিরে দেখানো হয়েছে বিক্ষোভ। কুড়মি সমাজ সূত্রে খবর, সাংবাদিক বৈঠক করা হবে। জানা গিয়েছে, নিজেদের দাবি নিয়ে সাইকেলে করে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া হয়ে কলকাতার সিআরআই দফতরে অভিযান করা হবে।