কলকাতা, ১০ মার্চ:- অনলাইনে জমির মিউটেশন এবং খাজনা মেটাবার ব্যবস্থা চালু হওয়ায় বহুলভাবে উপকৃত সাধারণ মানুষ। রাজ্য সরকারের আয়ও বেড়েছে বহুগুণ। শুক্রবার বিধানসভায় এ কথা জানিয়েছেন, ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানান চলতি অর্থবছরে ১০ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খাজনা বাবদ আয় হয়েছে ৪৪ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। মন্ত্রী এদিন বিধানসভায় তাঁর দফতরের ব্যায় বরাদ্দর উপরে আলোচনার শেষে জবাবী ভাষনে এই তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকারি নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খাস জমি বন্দোবস্ত করার জন্য তার দপ্তর অন্তর্বিভাগীয় জমি হস্তান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি অর্থ বছরে এই দপ্তর ৫৬টি দীর্ঘমেয়াদী লিজ মঞ্জুর করেছে। এর ফলে ১৪ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা সরকারের আয় হয়েছে।
এছাড়াও ভূমি হীন ও প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে। এক পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানান ২০১১-১২ সাল থেকে এই পর্যন্ত চার লক্ষ লোককে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ১৯ হাজার ৮৩৬ টি পাট্টা বিতরন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত মন্ত্রী জানান উদ্বাস্তু, পুনর্বাসন এবং কলোনীগুলির উন্নয়নের জন্য গত ৬-৭ বছরে ২৭১ টি কলোনীকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে বিরোধী বিজেপি দলের সদস্য শংকর ঘোষ, অম্বিকা রায়, বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা এবং তৃনমূল কংগ্রেসের তরফে মোসারফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম মন্ডল আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনার সূত্রপাত করেন বিজেপির বিশাল শর্মা। পরে ধ্বনী ভোটে এক হাজার ৪৮৮ কোটি ৪৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বাজেট প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।