কলকাতা, ২৭ আগস্ট:- একশ দিনের কাজে আর্থিক অনিয়ম দূর করতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে।ওই প্রকল্পে সোশ্যাল অডিট করিয়ে উদ্ধার হওয়া উদ্বৃত্ব অর্থের পরিমাণ সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর সমস্ত পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দিয়েছে। টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। এর পাশাপাশি রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফে জেলাশাসকদেরও চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। পঞ্চায়েত দফতরের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, হুগলিতে একশ দিনের কাজে সব থেকে বেশি অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। বিশেষত পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়া জেলাতে সোশ্যাল অডিট ইউনিট রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কোন পদক্ষেপে নেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত দফতরের কমিশনার জেলাশাসকদের লিখেছেন সোশ্যাল অডিট রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নিতে হবে। বেআইনি ভাবে খরচ হওয়ার টাকা সাত দিনের মধ্যে উদ্ধার করতে হবে।
এই টাকা “স্টেট এমপ্লয়িজ গ্যারান্টি তহবিলে” জমা দিতে হবে।কাদের কাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশ মতো থানায় এফআইআর, ফৌজদারি মামলা করেও রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে যে শ্রমিকদের প্রাপ্য টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে সাত দিনের মধ্যে সেই টাকা উদ্ধার করে সেই শ্রমিকের অ্যাকাউন্টেই পাঠিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই নির্দেশিকা উল্লেখ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে যত ভুয়ো টাকা উদ্ধার হবে তার জন্য সঠিক তথ্য প্রমাণ থাকে, চালান সহ সেই বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে করোনা পরিস্থিতির কারণে সোশ্যাল অডিট করা যায়নি। সেক্ষেত্রে একাধিক জেলায় সোশ্যাল অডিট করার সংখ্যা প্রচুর বেড়ে আছে বলেই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে গোটা রাজ্যের সব জেলায় ২৫২১৩টি কেস এখনও সোশ্যাল অডিট করা যায়নি। দ্রুত এই কেসগুলিতে সোশ্যাল অডিট করিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের।