এই মুহূর্তে জেলা

স্কুলে জল ভরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জখম চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।


হাওড়া, ১৮ জুলাই:- স্কুলের ওয়াটার পিউরিফায়ার থেকে বোতলে জল ভরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জখম হলো ক্লাস ফোরের এক ছাত্রী। বর্তমানে হাওড়া জেলা হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। সে ট্রমার মধ্যে থাকলেও তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। ঘটনার জেরে হাওড়ার বাঁকড়া মিশ্রপাড়া শিক্ষাকেন্দ্রে সোমবার দুপুরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এদিন স্কুলেই বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয় ওই ছাত্রী। ওয়াটার পিউরিফায়ার থেকে বোতলে জল ভরতে গিয়ে ঘটে যায় ওই ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতেই ছিটকে পড়ে আরফিন পারভিন নামের বছর নয়েকের ওই ছাত্রী। মাটিতে পড়ে সে ছটফট করতে থাকে। খবর পেয়ে স্কুলের শিক্ষকরা ছুটে আসেন। দৌড়ে আসেন তাঁরা। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে আনা হয়। ওই ছাত্রী কি কারণে ওয়াটার পিউরিফায়ার থেকে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হল তা স্কুলের তরফ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা শেখ পাপ্পু জানান, খবর পেয়েই তাঁরা স্কুলে আসেন। স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয় পারভিনের বিদ্যুতের শক লেগেছে। সেই কারণে তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। এখন সে ঠিক আছে। তাঁর অভিযোগ, স্কুলের গাফিলতির কারণেই এমন মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রীর বাবা বাসচালক মহম্মদ আয়ুব জানান, আফরিন তাঁর মেজো মেয়ে। এই ঘটনা কি করে ঘটল তা তিনি জানেন না। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ জানান, ছাত্রীর সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট ভাল এসেছে। এই ওয়াটার পিউরিফায়ারটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র (এমএসকে) এর ছিল। প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রটি এমএসকের সঙ্গে যুক্ত। ছাত্রীটি ওয়াটার পিউরিফায়ার থেকে জল আনতে গিয়েছিল। কোনও কারনে ওয়াটার পিউরিফায়ারের বডিতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছিল।দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রীকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা গুরুত্ব সহকারে চিকিৎসা করেন। এখন শিশুটি সুস্থ আছে। কোথায় ফল্ট ছিল তা জানার জন্য স্কুল দপ্তর থেকে জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়েছে।