সুদীপ দাস, ৪ মার্চ:- গত ২৪ ফেব্রুয়ারী রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলা চালায়। কালে দিনে তা যুদ্ধের আকার ধারন করে। দেশ দখলের উদ্দেশ্যে রাশিয়া ইউক্রেন সহ পার্শ্ববর্ত্তী এলাকায় আঘাত হানতে শুরু করে। রুশ সেনার অবিরাম বোমা বর্ষনে ইউক্রেনের আকাশ বারুদের গন্ধে ভরে ওঠে। হঠাৎ এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চিন্তিত হয়ে পড়েন কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে চিকিৎসাশাস্ত্র পড়তে আসা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা। যুদ্ধক্ষেত্রের কাছাকাছি থাকা ছাত্রছাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে গত ২৫ তারিখ থেকেই বাঙ্কারে আটকে পড়েন। দিন রাত ইউক্রেনের আকাশে চক্কোর খাচ্ছে রুশ সেনা কপ্টার। তারই মধ্যে যুদ্ধের সতর্কতা বিষয়ক সাইরেন ও রুশ যুদ্ধ বিমানের কান ফাটানো আওয়াজ আতঙ্কের কারন হয়ে উঠেছিল। পড়াশুনা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে উজুরহডের দূরত্ব অনেকটাই হওয়ায় সেই ধরনের যুদ্ধের আঁচ না পড়লেও যুদ্ধ ক্রমশই ঘনিভূত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আগামী ১৩ই মার্চ ছুটি ঘোষনা করা হয়। বাড়ির বাইরে বেরনো নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যুদ্ধের আতঙ্ক পিছু ধাওয়া করতে থাকায় এবার শিক্ষাক্ষেত্র ছেড়ে দেশে ফেরার চিন্তায় উদগ্রীব হয়ে ওঠে অনীক সহ অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা। বাড়ির সাথে ঠিকমত যোগাযোগও করা যাচ্ছিল না। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগীতায় গত ২৭শে ফেব্রুয়ারী বাসযোগে হাঙ্গেরী সীমানার জোহানীতে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে ফের বাসে করে বুডাপেস্ট বিমানবন্দর থেকে দিল্লী হয়ে গত ২৮ তারিখ কলকাতায় পৌছায় অনীক ঘোষ। সেখান থেকে ব্যান্ডেলের বাড়িতে পৌছালে আতঙ্ক কাটে অনীকের বাবা মায়ের। তবে সেই যুদ্ধ বিমানের কান ফাটানো আওয়াজ আর রুশসেনার বোমা বর্ষনকারী হেলিকপ্টারের চক্করের সেই আতঙ্ক কাটে নি অনীকের।