হুগলি, ২০ ফেব্রুয়ারি:- দিন কয়েক আগেই প্রকাশ্যে চুঁচুড়ার বিধায়কের নাম না করে, সমালোচনা করেছিলেন সপ্তগ্রামের বিধায়ক। সেই থেকেই শুরু সূত্রপাত। পৌর ভোটমুখি বাংলায় আবারও দুই তপনের কাজিয়ায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এক তপন হলেন সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। অন্য তপন হলেন চুঁচুড়ার বোধায়ক অসিত মজুমদার ওরফে তপন। পৌর ভোটে এবার চুঁচুড়ায় টিকিট পাননি তপন দাশগুপ্তের ভাই গোবিন্দ দাশগুপ্ত। গোবিন্দবাবু চুঁচুড়ার ২১নম্বর ওয়ার্ড থেকে দীর্ঘদিনের জয়ী প্রার্থী। কিন্তু এবার ওই ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। তবে আশা ছিলো গোবিন্দবাবু অন্য কোন ওয়ার্ড থেকে টিকিট পাবেন। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলেছে দল।
টিকিট না পেয়ে গোবিন্দবাবু চুপ থাকলেও চুঁচুড়ার রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছিলো। দিনকয়েক আগে বাঁশবেড়িয়ার একটি পথসভায় চুঁচুড়া বিধায়ক কাজ করে না বলে তপন দাশগুপ্তের উক্তি সেই জল্পনাকে আরও উজ্জীবিত করেছে। সেসময় অসিত মজুমদার তপনবাবুর সেই বক্তব্যের ফুটেজ ফেসবুকে ছেড়েছিলেন। টাইটেলে লেখা ছিলো চুঁচুড়া এক পাগল ও ছাগল আছে তিনি কি বলছেন শুনুন। তবে সেসময় গোবিন্দবাবুর টিকিটের প্রসঙ্গ ওঠেনি। এবারে গোবিন্দবাবু টিকিট না পাওয়ার পিছনে সরাসরি চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ও বিগত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান তথা অসিত মজুমদার গোষ্ঠী বলে পরিচিত গৌরিকান্ত মুখার্জী ওরফে ভজনকে দায়ী করে পোষ্টার পরলো।
সেই পোষ্টারে বিধায়ক ও বিদায়ী পুরপ্রধানকে রিতিমত মারধরের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই পোষ্টারও ফেসবুকে ছাড়লেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। এবার টাইটেলে লেখা এই পরিবারের মাথা গেছে। এবিষয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন আমি বিষয়টি দল ও পুলিশকে জানিয়েছি। আমার কোন ক্ষতি হলে পোষ্টারে যে দুজনের নাম রয়েছে তাঁরা দায়ী থাকবে। অন্যদিকে এবিষয়ে সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন এটা অসিত মজুমদারের ষড়যন্ত্র। উনি ছাপাচ্ছেন নিজেই চারিদিকে বিলোচ্ছেন।