সুদীপ দাস, ১৬ জানুয়ারি:- আগামি ২৪শে জানুয়ারি ব্যান্ডেল বনমসজিদ এলাকার আম্রপালির রায়ের বিয়ে বৈদ্যবাটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু দে-র সাথে। কর্মক্ষেত্র থেকেই বছর ৩১এর শান্তনুর সাথে প্রেমালাপ বছর ২৭এর আম্রপালির। আম্রপালির বাবা রঞ্জন রায় সরকারি কর্মী হলেও তাঁর অন্য পরিচয় তিনি একজন নাট্যকর্মী। মা অঞ্জনা রায় গৃহবধু। একমাত্র মেয়ের বিয়ে ঠিক হওয়ায় তাই গত বছর থেকেই আয়োজনে নামেন তাঁরা। ঠিক হয় আগামী ২৪শে জানুয়ারী আম্রপালি ও শান্তনুর দুই হাত এক হবে। কিন্তু চলতি বছর করোনার গ্রাফ উর্দ্ধমুখী হতেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিতদের সংখ্যা ৫০জনে বেঁধে দেয় সরকার।
এরপর থেকেই মাথায় বাজ ভেঙে পরে রায় পরিবারের। একমাত্র মেয়ের বিয়েতে প্রায় ৬০০জনকে নিমন্ত্রন করা হয়ে গেছে। ৬০০জনকে কাঁটছাট করে ৫০শে নামিয়ে আনা বড্ড মুশকিল। বিয়ের আগে তাই চরম মন খারাপ হয় আম্রপালিরও। আম্রপালির মামা শান্তনু ব্যানার্জী হুগলী জেলা পরিষদের সদস্য। আম্রপালি তাই বারংবার তাঁর মামাকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বিধিনিষেধ কমানোর মেসেজ মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানোর আবেদন জানাতে থাকে। কিন্তু আম্রপালির কথায় মামা তাঁকে বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে বলে। প্রথম দিকে মামার কথায় সায় না দিলেও আম্রপালি একটা শেষ চেষ্টা করতে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট খোলে।
নিজের প্রথম ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে মুখ্যমন্ত্রীকেই প্রথম ট্যুইট করে আম্রপালি বিয়ের অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠান স্থলে ধারন ক্ষমতার ৫০% লোক নিয়ে আয়োজন করার অনুরোধ জানান। আর ট্যুইট করার একদিন পর অর্থাৎ গতকাল রাতেই বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫০জনের জায়গায় ২০০জন করার কথা ঘোষনা করে রাজ্য সরকার। আম্রপালির বিশ্বাস তাঁর অনুরোধেই মুখ্যমন্ত্রী সাড়া দিয়েছেন। ২য় ট্যুইট করে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। আম্রপালি বলেন ৬০০-র জায়গায় ২০০তবুও ঠিক আছে। কিন্তু ৫০জন নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান কyরা কোনভাবেই সম্ভব হত না। তাই বেজায় খুশি আম্রপালি। একমাত্র মেয়ের অনুরোধে মুখ্যমন্ত্রী সাড়া দিয়েছেন একথা মেনে ভাষা হারিয়েছেন আম্রপালির বাবা-মা।