এই মুহূর্তে জেলা

আন্দোলন কিভাবে করতে হবে মমতা ব্যানার্জির থেকেই শেখা উচিৎ , বিজেপিকে কটাক্ষ বিজেপি নেতার।


সুদীপ দাস, ১৬ ডিসেম্বর:- সিঙ্গুরে বিজেপির কৃষক আন্দোলনে সামিল হতে আমন্ত্রণ পাননি এলাকার বহু বিজেপি নেতৃত্ব। যা নিয়ে ক্ষোভ বিজেপির একাংশের। জেলা বিজেপির একাংশ বলছে সিঙ্গুর বিধানসভা এলাকার পঞ্চায়েত গুলিতে মোট ২ ৮জন বিজেপি সদস্য রয়েছেন। যাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই এই আন্দোলনে ডাক পাননি। যা নিয়ে জেলা বিজেপির চরম গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে। সিঙ্গুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সদস্য তথা মণ্ডল সভাপতি গৌতম মোদক বলেন ভারতীয় জনতা পার্টি ভাবছে তারা ভারতবর্ষের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ অর্থাত্ রাজ্যকেও শাসন করছে তাই নীচুতলার কর্মীদের তাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে বর্তমানে যে উচ্চস্তরের নেতৃত্বরা রয়েছেন তাঁরা আগামী দিনে শাসন নয় শোষণ কর্তা হয়ে জনসাধারণকে শোষন করবেন। রাজনীতিকে এরা জীবিকা হিসেবে অর্জন করেছে,

রাজনীতিকে ভালোবেসে নয় বরং রাজনীতি থেকে আখের গোছানোয় এই সকল উঁচুতলার নেতৃত্বদের অভীষ্ট। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তুলনা করে তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন লগ্নে জন্ম। আন্দোলন কি করে করতে হয়, বিজেপির তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে শেখা উচিত। তৃণমূল সুপ্রীমো একমাত্র নেত্রী যিনি দলীয় কর্মী দের কথা ভেবে যে কোনো আন্দোলনে সর্বদা অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন তবে বিজেপির ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ উল্টো। দলের হেভিওয়েট নেতারাই নাম কে ওয়াস্তে মুখ দেখিয়েছেন এই ধরনা মঞ্চে। এ দিন তিনি আরও বলেন যে তাঁকে দলত্যাগ করার কথাও বলা হয়েছে তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দলের তরফ থেকে তিনি দলত্যাগের কোনও লিখিত নির্দেশিকা পাচ্ছেন না ততক্ষণ তিনি দলত্যাগ করবেন না। কৃষি বাঁচাও কৃষক বাঁচাও নামক সিঙ্গুরের এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কলকাতা পুরভোটের আগেই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে প্রশ্ন উঠছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত বিজেপির এই আন্দোলন আদৌ কতটা সার্থকতা করবে নাকি গোষ্ঠীকোন্দল আরও সুদৃঢ় হবে!