সুদীপ দাস, ১৬ ডিসেম্বর:- ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরনের দাবীতে রাজ্যব্যাপী কৃষক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কিষান মোর্চা। যে আন্দোলন” কৃষি বাঁচাও কৃষক বাঁচাও”তকমা এঁটে শুরু হয়েছে সিঙ্গুরের ঐতিহাসিক মাটি টাটা অধিগ্রহীত জমি সংলগ্ন এলাকায়। মঙ্গলবার থেকে শুরু এই আন্দোলনে রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তবে এদিনের এই কর্মসূচীতে দেখা মেলেনি জেলা বিজেপির কোনো নেতৃত্বের। প্রথমদিন সকাল ১১টা থেকে এই আন্দোলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর পৌনর ২টো নাগাদ হাজির হন বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতো প্রথম সারির নেতারা।
কৃষকদের পাশে থাকতে আশ্বাস দিয়ে সমগ্র রাজ্যব্যাপী এই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান উপস্থিত নেতৃত্বরা। তবে কলকাতা পুরভোটের প্রচারের অজুহাতে এদিন মঞ্চে বক্তৃতা দীর্ঘায়িত করতে চাননি প্রথম সারির নেতারা। ১মদিনের এই আন্দোলনে দলের তরফ থেকে কোনো রকম আমন্ত্রণ পাননি বলেই জানান বিধানসভা নির্বাচনে সিঙ্গুর থেকে বিজেপির হয়ে দাঁড়ানো প্রার্থী মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। যা নিয়ে বিগত দিনেত রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট সমালোচনার ঝড় উঠেছে।আজও সিঙ্গুরের সেই আন্দোলনে সামিল হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু। সুকান্ত মজুমদার খাসেরভেরি এলাকায় যান। সেখানে চাষীদের দুর্দশার কথাও শোনেন।
তবে এদিন দেখা মেলেনি বহু জেলা নেতৃত্বের। এদিনও এই মঞ্চ থেকে কৃষকদের স্বার্থে আন্দোলন বলেই জানান উপস্থিত বিজেপি নেতৃত্বরা। এদিনও ধর্ণা মঞ্চের ধারে কাছেও চোখে পড়েনি যাদের নিয়ে এই আন্দোলন সেই কৃষকদের। কেবল তাই নয় বাদ পড়েছেন আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র স্থানীয় গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক কৃষক তথা ঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য দীপঙ্কর বেরা। তিনি জানান কৃষকদের নিয়ে ডাকা আন্দোলনে ডাক পাননি কৃষকরাই। যা আগামীদিনে দলে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে। আজ সভার তৃতীয় দিনে শুভেন্দু অধিকারী সহ রাজ্যের বিশিষ্ট নেতাদের আসার কথা। আজই ধর্না মঞ্চ থেকে ঠিক হবে আগামী দিনের আন্দোলনের রূপরেখা।