তরুণ মুখোপাধ্যায় ,২১ ফেব্রুয়ারি:- ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগ হওয়ার পর থেকে পূর্ব বাংলার মানুষেরা পাকিস্তানের চাপিয়ে দেওয়া উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রতিবাদে শুরু করে মরণপন আন্দোলন। হাজার হাজার মানুষের দাবি বাংলা ভাষাকে উর্দুর পাশাপাসি পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা করতে হবে এই দাবি নিয়ে আন্দোলন তীব্রতর হয়। পূর্ব বাংলার আপামর ছাত্র-যুব সহ সমস্ত স্তরের মানুষ পাকিস্তানের এই নীতির প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে শুরু করে় ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করতে হবে এই দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জড়ো হন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ধ্বনি ওঠে বাংলা মায়ের এই অপমান কিছুতেই মানব না। ব্যাপক প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয় । এই আন্দোলনে পাকিস্তানে রক্তপিপাসু পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায।় ঢাকার রাজপথ লাল হয়ে। ওঠে রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। আমার মায়ের ভাষা বাংলা ভাষার মর্যাদা কিছুতেই হারাতে দেব না এই শ্লোগান তুলতে তুলতে পাকিস্তানী খান সেনাদের গুলির সামনে বুক পেতে দেয় আব্দুল বরকত আব্দুস সালাম রফিক শফিক সহ একদল দামাল তরুণ। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলা ভাষার মর্যাদা। সেদিনের সেই আন্দোলনে এপার বাংলার এক তরুণ প্রতিবাদে পাকিস্তানি পুলিশের গুলি বুকে নিয়ে শহীদ হয়েছিলেন।
তিনি হলেন শফিউর রহমান পশ্চিমবঙ্গের কোন্নগরের বাসিন্দা এই যুবক ঢাকায় গিয়েছিলেন । সেই সময় প্রতিবাদী শফিউর বাংলা ভাষার অমর্যাদা সহ্য করতে পারিনি। তিনিও ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানে হাজার হাজার প্রতিবাদী মানুষের সঙ্গে তিনিও সামিল হয়েছিলেন । ২১ তারিখ থেকে যে মরণপণ সংগ্রাম শুরু হয়েছিল সেই আন্দোলনে ২২ শে ফেব্রুয়ারি তিনি পাকিস্তানি পুলিশের গুলি বুকে নিয়ে লুটিয়ে পড়ে ছিলেন ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কথা সে দেশের মানুষ চিরতরে মনে রেখেছে। মনে রেখেছে শফিউর কেও। রফিক সফিকদের সঙ্গেও বাংলা দেশে রয়েছে তার স্মৃতি স্তম্ভ। ২০০০ সালে তাকে বিশেষ ২১ এর সম্মানে ভূষিত করে বাংলা দেশ সরকার। ভাষা দিবসের এই সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেয় রাষ্ট্র সংঘ । ২১ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আন্তর্জাতিক ভিসা দিবস হিসেবে। এই দিনটিতে সকাল থেকে সারা বাংলাদেশের মানুষ রাজপথে নেমে এসে সেই সমস্ত বীর শহীদদের কথা স্মরণ করেন। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দলে দলে মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত ফুল নিবেদন করেন ।তাদের অন্তরে শ্রদ্ধা জানান । কিন্তু পরিতাপের বিষয় এপার বাংলার মানুষেরা শফিউর রহমানের কথা কেউই মনে রাখেনি । তার আত্ম ত্যাগের কথা কেউ জানেন না । কোন্নগরের সামান্য গুটিকয়েক মানুষ এবং কোন্নগর পৌরসভা এদিন সকালে কিছু অনুষ্ঠান করেন । পৌরসভার পাশে নির্মিত শফিউর রহমানের স্মৃতিতে তৈরি গড়ে ওঠা স্মৃতি স্তম্ভে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কোন নগরের বেশকিছু মানুষ। খুবই দুঃখের বিষয় খুবই পরিতাপের বিষয় শফিউর রহমানের জন্মভিটে সেটা আজও জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে কোন্নগর জি টি রোডের উপর। ভগ্নপ্রায় এই বাড়িটিতে তারই পরিবারের কিছু মানুষ বাস করেন কোন্নগরের সাধারণ মানুষের দাবি ভাষা আন্দোলনের শহীদ দের এবং সারাবিশ্ব যে আন্দোলন কে স্বীকৃতি দিয়েছে সেই আন্দোলনের বীর নায়কের বাড়িটি কেন অবহেলিত অবস্থায় থাকবে । ১৯১৮ সালে এই বাড়িতেই জন্ম নিয়েছিলেন শফিউল তারপর পড়াশোনা শেষ করে তিনি কর্মসূত্রে ঢাকায় গিয়েছিলেন তারপরের টা তো ইতিহাস অথচ আমাদের রাজ্যে ভাষা আন্দোলন নিয়ে কতনা অনুষ্ঠান কতনা সভা সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আমরা কি কেউ মনে রেখেছি শফিউর রহমানের কথা আমরা কি কেউ অনুভব করেছি তার স্মৃতিতে এখানে গড়ে উঠুক একটি স্মৃতিস্তম্ভ যেখানে ওপার বাংলা সঙ্গে সঙ্গে এপার বাংলার মানুষ এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন। অথচ এই জরাজীর্ণ বাড়িটি এই বাড়িটির কথা এখনো কেউ মনে রাখেনি এলাকা বাসীর দাবি আমাদের মানবিক ও সাংকৃতি প্রেমিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় টি যাতে নজর দেন।Related Articles
হিন্দমোটরেই হতে চলেছে রাজ্যের বৃহত্তম জল প্রকল্প- ফিরহাদ।
কলকাতা, ২৪ জানুয়ারি:- বৃহত্তর কলকাতার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলা পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে রাজ্য সরকার নতুন জল শোধনাগার তৈরির কাজে হাত দিচ্ছে। কলকাতার উপকন্ঠে হুগলি জেলার উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার হিন্দমোটর এলাকায় ১৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যের বৃহত্তম জল শোধানাগার গড়ে উঠতে চলেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। এই পানীয় জল প্রকল্প […]
ঝাড়গ্রাম ব্লকের গড় শালবনী গ্রামে ৬ টি বাড়ি ভেঙে তাণ্ডব চালাল হাতি , আতঙ্ক এলাকাজুড়ে।
ঝাড়গ্রাম , ১৬ আগস্ট:- রবিবার ভোর রাত্রি তিনটে নাগাদ আচমকা একটি দাঁতাল হাতি ঢুকে পড়ে ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের গড় শালবনী গ্রামে । এরপর পরপর ৬টি বাড়ি ভাঙচুর করে দাঁতাল হাতিটি তাণ্ডব চালায় । প্রায় এক ঘন্টা ধরে হাতিটি গ্রামজুড়ে তাণ্ডব চালায় । হাতি গ্রামে ঢুকে পড়েছে বলে জানতে পেরে গ্রামবাসীরা ঘুম থেকে উঠে ফটকা […]
রাজ্য সরকারি কর্মীর সন্তানের প্রাপ্য পেনশনের পরিমান বাড়ানো হলো।
কলকাতা, ২৩ নভেম্বর:- এর আগেই আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে অবসরকালীন নিরাপত্তার আওতায় আনতে পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে আয়ের উর্ধ্বসীমা বাড়ানো হয়েছে রাজ্যে।এবার রাজ্য সরকারি কর্মীর সন্তানের প্রাপ্য ফ্যামিলি পেনশনের পরিমাণও বাড়ানো হল। পেনশন প্রাপক সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর স্ত্রী অথবা স্বামী ফ্যামিলি পেনশন পান। ফ্যামিলি পেনশন প্রাপকের মৃত্যু হলে তাঁর সন্তানের নিজস্ব কোনও আয় না-থাকলে […]