এই মুহূর্তে জেলা

রিষড়ার জগদ্ধাত্রীতে অত্যাধুনিক বুলেট ক্যামেরা পুলিশের।

হুগলি, ৩১ অক্টোবর:- করোনা আবহে দুর্গাপুজোর আদলেই রিষড়ায় জগদ্ধাত্রী পুজো করার প্রস্তুতি নিয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। গত ২৬ তারিখ থেকেই রিষড়া থানার পুলিশ অনলাইনের মাধ্যমে বারোয়ারি গুলিকে অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলেও, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনাড়ম্বরভাবে পুজো করার নির্দেশ জারি করেছে পুলিশ। বারোয়ারি মণ্ডপগুলোতে খোলামেলা রাখার পাশাপাশি, প্রতিমা নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও মণ্ডপে ভিড় জমানো যাবে না বলে জানিয়েছে। সেইসঙ্গে বারোয়ারি গুলিকে মাক্স ও স্যানিটাইজার বিলি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য থাকছে পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা। এবছরও করোনার কোপে পড়েছে নিরঞ্জন শোভাযাত্রা। গতবছরের হিসেব ধরলে রিষড়া থানার অনুমতি সাপেক্ষে পুজো হয়েছিল ৮৮ টি। তার মধ্যে এবারে আছে তিনটি জুবিলি পুজো। রিষড়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাসেল পারভেজ খান জানান পুলিশের পক্ষ থেকে ১৩ টি পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ করা হচ্ছে। চারটি থাকছে সেক্টর। এছাড়াও থাকছে সিসিটিভি ও পি,টি,জেড ক্যামেরার পাশাপাশি

এবার নতুন সংযোজন হিসেবে থাকছে চল্লিশটি বুলেট ক্যামেরা। যা দিয়ে গোটা রিষড়াকেই মুড়ে দিতে চাইছে রিষড়া থানা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গেছে ভিআইপি রোড আলাদা করা হবে কারণ পুজোর সময় যাতে অসুবিধা না হয়। বিকেল চারটে থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত থাকবে নোএন্ট্রি। সেই সময় বন্ধ থাকবে সমস্ত গাড়ি। অবশ্য ছাড় থাকছে মোটর সাইকেলের। যাদের নিজস্ব গাড়ি আছে সেই সময় যাতায়াত করা কিভাবে হবে সেই নিয়ে থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়াও থাকছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। গঙ্গায় নজরদারির জন্য বিশেষ রিভার পেট্রোলিং এর ব্যাবস্থা থাকবে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন থাকবে এলাকায়। জমায়েত বন্ধ করতে মেলা, বিচিত্রা অনুষ্ঠান সবই বন্ধ থাকছে। এবার নতুন করে কোনো স্টল বসানো যাবে না। পুরসভার পুরপ্রশাসক বিজয় সাগর মিশ্র বলেন প্রতিদিনই স্যানিটাইজ করা হবে মণ্ডপ গুলিতে। তবে পুজো কমিটি গুলোকে বলা হবে যেন পুজোমণ্ডপে মাস্ক ছাড়া দর্শনার্থীদের প্রবেশ না করানোর। রাজ্য সরকারের নির্দেশ পালন করার বার্তা দেনও তিনি।