সুদীপ দাস, ১৭ অক্টোবর:- মেয়েকে পড়াশুনা শিখিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেকেও অনেক কষ্টে বড় করেছিলেন হরিদাস দত্তগুপ্ত। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর জমানো টাকা সহ ছেলের সহযোগীতায় ঋন নিয়ে বাঁশবেড়িয়ার সুরকি মিলে বাড়ি কিনেছিলেন হরিদাসবাবু। ছেলের সহযোগীতায় ঋন হয়েছিল তাই বাড়িটি ছেলের নামেই কিনেছিলেন তিনি। সেটাই কাল হয়েছে হরিদাসের। বর্তমানে ছেলে সেই বাড়িতেই বাবাকে ঢুকতে দিচ্ছে না। হরিদাসের স্ত্রী মাস ছয়েক আগে মারা গেছেন। তারপর বেশকিছুদিন পাশেই মেয়ে সোমা চৌধুরীর বাড়িতে ছিলেন হরিদাস। সোমাদেবী স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে ওই এলাকায় ভাড়া থাকেন। গত অষ্টমীর দিন বছর ৬৯-এর হরিদাসবাবু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় সোমাদেবী বাবাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভর্তি করেন।
হরিদাসের ছেলে রানা দত্তগুপ্ত পেশায় রাজ্যের প্রথম শ্রেনীর একটি বাংলা সংবাদপত্রের ডিজিটাল মাধ্যমের কর্মী। অভিযোগ অসুস্থ বাবাকে ঘরে ফেরাতে নারাজ রানা। বাবাকে ঘরে ফেরাতে আজ তাই চুঁচুড়া থানার দ্বারস্থ হলেন সোমাদেবী। এদিন এবিষয়ে চুঁচুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি বলেন বাবা-মায়ের প্রতি ভাইয়ের অত্যাচার নতুন নয়। মাস ছয়েক আগে মা করোনায় মারা গেছেন। এখন দেখছি বাবাকে ও ঘরে রাখতেই বারন করছে। আমি চাই বাবা বাড়িতেই থাকুক। দরকার হলে ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে আমিই দেখাশোনা করব। কিন্তু ভাই সর্বদা সংবাদমাধ্যমের নামে ভয় দেখায়। যদিও পুলিশের সহযোগীতায় খুশি তিনি। এদিন চুঁচুড়া থানার পুলিশ গিয়ে হরিদাসবাবুকে বাড়িতে ঢুকিয়ে দিয়ে আসেন। যদিও এবিষয়ে গুনধর ছেলে রানা দত্তগুপ্তের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয় যায়নি।