খানাকুল, ১৭ সেপ্টেম্বর:- টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে আবারও প্লাবিত হুগলির খানাকুলের বিস্তৃর্ন এলাকা। লাগাতার বৃষ্টির জেড়ে রুপনারায়ন ও দ্বারকেশ্বর নদীর জলে প্লাবিত খানাকুলের বেশ কয়েকটি গ্রাম। প্রায় দেড়মাস আগে বন্যার জেড়ে ভেঙে যাওয়া বাঁধের হানাগুলি দিয়ে নদীর বাঁধ উপচে জল আবারও এলাকায় প্রবেশ করছে। আর এর আতঙ্কে দিন কাটছে খানাকুলের নদী বাঁধ এলাকার মানুষের। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে অতিবৃষ্টির জেড়ে দ্বারকেশ্বর নদীর জল পুর্ব ঠাকুরানী চক এবং পশ্চিম ঠাকুরানি চক এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। আতঙ্কিত মানুষদের ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্ক করার পাশাপাশি পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়। যাতে করে আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যায়।
পাশাপাশি খানাকুলের ধান্যনগরী অঞ্চলের জেলেপাড়া, সামন্ত পাড়া,খাঁড়াপাড়া, শনিতলা সহ বিস্তৃর্ন এলাকা ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়ে গেছে।রুপনারায়ন নদীর জলে প্লাবিত হয়। প্রায় দেড় মাস আগে প্রবল বৃষ্টি ও জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ায় খানাকুলেরর দুটি ব্লকের বিস্তৃতন এলাকা জলের তলায় চলে যায়। ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল ও গবাদিপশু ভেসে যায়। সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে এনডিআরএফ ও সিভিল ডিফেন্সের আধিকারিক ও প্রশাসনের আধিকারিক ও কর্মীরা দিনরাত এক করে বন্যাদুর্গত মানুষদের উদ্ধার কার্জ চালায়। সেই অন্ধকারময় দিনগুলির কথা ভেবে এবং বর্তমানে আবারও জল এলাকায় প্রবেশ করায় আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয় মানুষদের।
এই বিষয়ে খানাকুলের এক গৃহবধূ আলফনা বারিক বলেন, এই ভাবেই কি চলতে থাকবে।বন্যার জল কমে যাওয়ার পরও হানাগুলি বাঁধা না হওয়ায় মানুষ সমস্যা পড়ছেন।অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন জানান, নদীর বাঁধ ঝাপিয়ে জল এলাকায় প্রবেশ করছে। মানুষ তাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। আগের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে মানুষ একেবারে ধনে প্রানে মারা যাবে। সবমিলিয়ে হুগলির খানাকুলে আবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। একদিকে দ্বারকেশ্বর নদী অন্যদিকে রুপনায়ন নদীর জল এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, যদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে প্রশাসন সতর্ক আছে। সবরখম ভাবে বন্যা দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো হবে।