দুর্গাপুর,১৩ ফেব্রুয়ারি:- বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে ছিলেন মমতা। এদিন সরকারি আধিকারিক, আমলা, জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে যদি কোনও গরিব মানুষ তালিকায় থাকা হাসপাতালে যান, আর তারা যদি ফিরিয়ে দেয় তাহলে থানায় অভিযোগ জানান।” পুলিশকে মমতার নির্দেশ, এইরকম অভিযোগ এলেই জেলাশাসককে জানাতে হবে। কোনও দেরি করা যাবে না। জেলাশাসক জানাবেন মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। হাসপাতালগুলির উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যদি কেউ পরিষেবা না দেন, তাহলে তাদের লাইসেন্স নিয়ে সমস্যা হবে। মনে রাখবেন আপনারা কিন্তু রাজ্যের থেকে লাইসেন্স নিয়ে হাসপাতাল চালান।” খতিয়ান দিয়ে বলেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালাতে প্রতিবছর রাজ্যের ১২০০ কোটি টাকা করে খরচ হচ্ছে। তাঁর কথায়, “হাসপাতালগুলো তো আর বিনা পয়সায় চিকিৎসা করছে না রে বাবা। সরকার তো তাদের পয়সা দেবে। তাহলে করবে না কেন !” এই প্রকল্পের নিয়ম হচ্ছে প্রতিটি পরিবার বছরে দেড়লক্ষ টাকার চিকিৎসাবীমা পাবে। আর জটিল কোনও রোগ হলে সেক্ষেত্রে পাঁচলক্ষ টাকা পর্যন্ত বছরে বীমা পাবে। বাংলার সাড়ে সাতকোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।