সুদীপ দাস, ২৮ আগস্ট:- শনিবার ২৮শে আগষ্ট ছিলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। এই উপলক্ষে কোলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেন দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতেই দলের এই ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেই ভার্চুয়াল সভাকে ঘিরেই দিকে দিকে কোভিড নিয়ম ভাঙতে দেখা গেলো তৃণমূলী ছাত্রদের। কোভিড আবহের জন্য ভিড় এড়াতে বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ বন্ধ। কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে খুললো কলেজ গেট। সেখানে সরাসরি দলীয় নেত্রীর ভাষন শোনানোর ব্যাবস্থা করা হলো। তবে ছাত্র সংসদের ভিতরে নয়, রীতিমত কলেজের ফিজিক্স এন্ড কেমিস্ট্রি ক্যাম্পাসের ভিতরে থাকা সভাকক্ষে তৃণমূল নেত্রীর ভার্চুয়াল ভাষন ফুটে উঠলো পর্দায়।
চুঁচুড়ার ঐতিহ্যমন্ডিত হুগলী মহসীন কলেজের ঘটনা। সরকার পোশিত নয় যেই কলেজ সরাসরি সরকারী। সেখানে শুধু কলেজের তৃণমূল সমর্থিত ছাত্ররা নয়, ছিলেন চুঁচুড়ার পুরপ্রশাসক গৌরিকান্ত মুখার্জী, উপ-পুরপ্রশাসক অমিত রায়, শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সজ্ঞীব মিত্র, তৃণমূল নেত্রী অনিন্দিতা মন্ডলরা। কিন্তু প্রশ্ন হলো কোভিড পরিস্থিতিতে যে দেশে প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাঙ্গনে তালা ঝুলছে, সে দেশে “ছাত্র রাজনীতি”-র জন্য সেই তালা খোলা কি বৈধ? হুগলীফ মহসীন কলেজের এদিনের ঘটনায় এই প্রশ্নই তুলেছে বিজেপি।
বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গৌতম চ্যাটার্জীর বক্তব্য এটাই হলো শিক্ষাঙ্গনে তৃণমূলায়ণ! যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। হুগলি-চুঁচুড়া শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সেখ হীরা বলেন আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এবং কোভিড বিধি মেনেই এই কর্মসুচি গ্রহন করেছি। এখন প্রশ্ন একটাই যে সরকারী কলেজে রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি মেলে ছাত্রদের সেই সরকারি কলেজে শিক্ষাদান চালু করার অনুমতি কেন মেলেনা??