এই মুহূর্তে কলকাতা

বন্যাদুর্গত মানুষের প্রাণহানি আটকাতে সবরকমের সতর্কতামূলক ব্যাবস্থা নিয়েছে সরকার।

কলকাতা , ২ আগস্ট:- রাজ্যে বিগত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ এবং নদীর জল স্তর বৃদ্ধি জনিত প্লাবনের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষের সম্পত্তি ও প্রাণহানি আটকাতে রাজ্য সরকার সব রকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিপদ সীমার মধ্যে থাকা জেলাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই ৯০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জলবন্দি এলাকার মানুষদের রাখার জন্য খোলা হয়েছে ৩৫০টি ত্রাণ শিবির। নবান্নে সরকারি সূত্রে এ খবর জানা গেছে। মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে বন্যা মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি বজায় রাখার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তার কাছ থেকে এ সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পদ হানি আটকাতে প্রয়োজনীয় সব রকমের ব্যবস্থা নিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। সেইমতো তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। নবান্ন সূত্রে খবর এ পর্যন্ত জলবন্দি এলাকায় এক লক্ষ ত্রিপল ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ৩৫ হাজার জামা কাপড়। উল্লেখ্য প্রতিবেশী ঝাড়খন্ডে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে। এর ফলে নদী গুলিতে জলস্তর এর মাত্রা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর হাওড়া হুগলি উত্তর ২৪ পরগনা সহ বেশকিছু জেলায় বিভিন্ন অঞ্চল ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত চলায় বিপদের আশংকা আরও বাড়ার ইঙ্গিত মিলেছে।