কলকাতা, ১ জুলাই:- ইয়াশ ঘূর্ণিঝড় জনিত বিপর্যয়ের ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণ প্রকল্পে জমা পড়া আবেদনের প্রায় অর্ধেক বিভিন্ন রকম অসঙ্গতির কারণে বাতিল হয়েছে। জমা পড়া আবেদন পত্র পরীক্ষা করে দেখার পর তা বাতিল করা হয় বলে নবান্নে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। ইয়াস দুর্যোগের পর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প শুরু করেছিল। গত পয়লা থেকে ১৭জুন পর্যন্ত ওই প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন জানাতে বলা হয়। ওই সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৭৪ টি আবেদন জমা পড়ে। মোট আট জেলা থেকে এইসব আবেদন জমা পড়েছিল। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতা থেকে জমা পড়া আবেদনগুলো ১৯ থেকে ৩০ শে জুনের মধ্যে পরীক্ষা করে দেখা হয়।কাগজপত্র পরীক্ষা এবং সরেজমিনে তদন্তের পর এর মধ্যে এক লক্ষ ৮৬ হাজার ৮১৫ টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে। যা জমা পড়া মোট আবেদনের প্রায় ৪৫ শতাংশ।
গতবছরের আম্ফান ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পর্যায়ে প্রাণ এবং ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তথা সরকার। আমফানের চাল চুরি, ট্রিপল চুরির অভিযোগ বিধানসভা ভোটের প্রচার পর্যন্ত তাড়া করে ফিরেছে তৃণমূলকে। তাই এবার ইয়াস দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়ে গোড়া থেকেই কঠোর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সরাসরি ক্ষতিপূরণ এবং ত্রাণ পাঠাতে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করেন তিনি। যেখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে মানুষের কাছে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে ভুয়ো আবেদন আটকাতে ও কঠোর প্রশাসনিক নজরদারি ছিল। সেই ছাকনিতে আটকে এত সংখ্যক আবেদন বাতিল হয়েছে বলে দাবি রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের।