কলকাতা , ২৫ এপ্রিল:- রাজ্য সরকার করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য গোটা রাজ্যে ১৩৮৭ টি বেসরকারি হাসপাতাল বেড নিয়েছে। এর মধ্যে কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল যেমন রয়েছে, তেমনি রাজ্যে অন্যান্য জেলার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালেরও নাম রয়েছে৷ ১৩৮৭ টি বেডের মধ্যে ৯১৭টি সাধারণ, ৩৭০টি সিসিইউ, ৯০টি এইচডিইউ এবং ১০টি এনআইসিইউ বেড রয়েছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। যেহেতু কলকাতা এবং সংলগ্ন উত্তর চব্বিশ পরগণায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি, তাই কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বেড নেওয়া হয়েছে। কলকাতার পিয়ারলেস, আর এন টেগোর, মেডিকা, ফর্টিস, সিএমআরআই, বেলভিউ, ড্যাফোডিল, কলম্বিয়া এশিয়ার মতো বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের মোট ২৬০টি বেড অধিগ্রহণ করেছে সরকার৷ একই ভাবে উত্তর চব্বিশ পরগণার সাতটি বেসরকারি হাসপাতালের মোট ৩১১ টি বেড করোনা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।সরকার হাওড়ার দু’টি হাসপাতালের প্রায় ২৬০টি বেড নিয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমানের একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালেরও ২০০ বেড নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণ, দার্জিলিং, মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বেড করোনা রোগীদের জন্য নেওয়া হয়েছে৷ যে জেলাগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে, সেখানে রোগীর চাপ অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালের বেড করোনা রোগীদের জন্য হাতে নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে বর্তমানে শিশুদের করোনা সংক্রমন বাড়ায় তাদের চিকিৎসার জন্য ১০ টি এনআইসিইউ বেডও নেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে৷ সবথেকে খারাপ অবস্থা কলকাতা এবং উত্তর চব্বিশ পরগণার৷ কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে বেড না পেয়ে বহু সঙ্কটজনক করোনা রোগীকে ফিরে যেতে হচ্ছে বা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরে হয়রান হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ তৈরি হচ্ছে অক্সিজেনের সংকটও৷ সেই সংকট কাটাতেই বেসরকারি হাসপাতালের বেড হাতে নিল কমিশন৷ একই সঙ্গে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ১০টি এনআইসিইউ বেডও অধিগ্রহণ করেছে সরকার৷ কারণ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বহু শিশুও আক্রান্ত হচ্ছে৷