কলকাতা , ২২ এপ্রিল:- ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনা পরিস্থিতি। আর এই নিয়েই শুক্রবার পর্যালোচনা বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার জেরে আগামিকাল বঙ্গে ভোট-প্রচারে আসছেন না মোদি। একদিনেই চারটি সভা ছিল তাঁর। বাতিল হল প্রত্যেকটি। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লক্ষের বেশি মানুষ। যা সর্বকালীন রেকর্ড। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজারের বেশি রোগীর। সেই কথা মাথায় রেখেই শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে শুক্রবার বাংলায় তাঁর শেষ প্রচার ছিল। ট্যুইট করে নিজেই বঙ্গসফর বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আগামিকাল দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেব। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গে যেতে পারছি না।’ প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন। ২২ ও ২৪ এপ্রিলের বদলে ২৩ এপ্রিল একদিনেই বাংলায় চারটি প্রচারসভা করার কথা ছিল মোদির। মালদা, বহরমপুর, সিউড়ি ও কলকাতার শহিদ মিনার ময়দানে ছিল সভাগুলি।
এই চার সভায় উপস্থিত থেকেই বাকি কেন্দ্রগুলিরও দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করতেন তিনি। শুক্রবার বঙ্গ ভোটপর্বে এই নিয়ে ১৩ তম বার মোদির সফর হওয়ার কথা ছিল। ঠিক ছিল, কোভিড বিধি মেনেই মাত্র ৫০০ মানুষের সামনে ভাষণ দেবেন তিনি। কিন্তু বেশি মানুষের সামনে এই সভা তুলে ধরা যায় তাই রাজ্যজুড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিজেপি। এই প্রস্তুতি যখন চলছে দেশের করোনা সংক্রমণ ৩ লক্ষের কাঁটা ছুঁয়েছে। রাজ্যেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। আজই ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৩৫ জন। গত এক বছরে কখনও কোনও দেশে একদিনে এত আক্রান্ত দেখা যায়নি। কাজেই কেন্দ্রীয় সরকারের কপালের ভাঁজ স্পষ্ট।পাশাপাশি রয়েছে অক্সিজেন সংকটের মতো বিষয়ও। এই নিয়ে কালই রীতিমতো কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। তাই সব দিক বিচার করে গোটা দেশের পরিস্থিতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে গোটা দিনের প্রচার পরিকল্পনা বাতিল করছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিবর্তে তিনি উচ্চপর্যায়ের অন্তত তিনটি বৈঠক করবেন। প্রথম বৈঠকটি হবে আন্তদফতর, পরিস্থিতি নিয়ে কথা উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। রের বৈঠকটি হবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা রাজ্যগুলির সঙ্গে। তৃতীয় বৈঠকটি হবে অক্সিজেন উৎপাদকদের সঙ্গে।