কলকাতা , ১৮ জানুয়ারি:- একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করার পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন সেখানকার জমিরক্ষার আন্দোলনে তাঁর প্রধান সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই মমতার খাসতালুক রাসবিহারীতে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারি তাঁকে অন্তত পঞ্চাশ হাজার ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত নন্দীগ্রামেরই বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারি। গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে গিয়ে এই কেন্দ্রে শুভেন্দুকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার শুভেন্দুর সঙ্গে টক্কর দিতে নিজেরেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন মমতা। যা নিয়ে এখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই ঘোষণার জবাবে এদিন সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, হাজরায় সভা করতে দেওয়া হয়নি আমাদের। সব মাইক খুলে দেওয়া হয়েছে। এটা নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্গ ছিল। যদিও এটা এখন আর পার্টি নেই। তাও এদিন ট্রেলার দেখালাম। এরপর সিনেমা দেখা যাবে। তাঁর হুঙ্কার, নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু আজ বলে দিচ্ছি, নন্দীগ্রামে পদ্মফুল যাঁকেই দেবে, আধ লাখ ভোটে মাননীয়াকে যদি হারাতে না পারি, রাজনীতি ছেড়ে দেব। মমতাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, মাননীয়ার ৫ বছর বাদে বাদে নির্বাচনের সময় নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে। তাই তিনি ৫ বছর বাদে বাদে নন্দীগ্রামে যান। ভোট এলেই তিনি নন্দীগ্রামে যান। ২০১৫-এর ডিসেম্বরের পর ফের ২০২১-এর জানুয়ারীতে তিনি গিয়েছেন। ভাল কথা, তবে এই নির্বাচনে তিনি হারবেন। নন্দীগ্রামে পদ্মফুল ফুটবে।’ শুভেন্দু জানান, নন্দীগ্রামের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, সত্যকে আড়াল করে রেখে কোনও কাজ হবে না। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলছেন। কারণ, নন্দীগ্রামে গুলি চালানো অফিসার অরুণ গুপ্তাকে নবান্ন থেকে চারটি এক্সটেনশন দেওয়া হয়েছে। সেই সময় থানার ওসি সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই কে কী করেছে সেটা দিনের আলোর মতই স্পষ্ট। একইসঙ্গে, কলকাতার পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে নাম না করে ফিরহাদ হাকিমকে একহাত নেন। শুভেন্দু বলেন, এমন মহানাগরিক যে কাজ করতে কতটা সক্রিয়, তা স্পষ্ট। সেই কারণেই আম্ফানের পর ১০ দিন শহরে আলো-জল কিছুই ছিল না। শেষ পর্যন্ত সাত দিন বাদে ওড়িশা সরকার ও সেনা বাহিনীর লোক এসে মানুষকে জল-আলো এনে দিয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট কেমন নেতা পেয়েছেন আপনারা।