সুদীপ দাস , ১৯ ডিসেম্বর:- তৃণমূল নেতার ছেলের হাতে ধর্ষিতার পর অপমান ও আত্মসন্মানে আঘাত লাগায় আত্মহত্যার চেষ্টা কিশোরীর। বর্তমানে গুরুতর জখম অবস্থায় নির্যাতিতা ওই কিশোরী চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার ভোরে বাড়ির কলপারে গায়ে জ্যারিকেনের কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় হুগলির সুগন্ধ্যার বাসিন্ধ্যা ওই কিশোরী। ঘটনায় অভিযুক্ত সুমন সাঁতরা গ্রেপ্তার হয়েছে। সুমনের বাবা বরুন সাঁতরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত। গত সোমবার সন্ধ্যায় গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার পথে জোর করে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে সুমন ধর্ষন করে বলে অভিযোগ। কেউ যাতে বিষয়টি জানতে না পারে সেজন্য সালিশি সভাও তৃণমূল বসিয়েছিলো বলে বিজেপির অভিযোগ। তবে ঘটনার পর থেকেই নির্যাতিতা ওই কিশোরী অপমানে ও অবসাদে ভুগছিলো। সে জন্যই হয়তো সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
মেয়েকে হাসপাতালে দেখতে এসে অসুস্থ হয়ে পরে তাঁর মাও। মাকেও চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও এই ঘটনাকে নেহাতি আত্মহত্যার চেষ্টা বলতে নারাজ বিজেপি। এদিন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদিকা পামেলা গোস্বামী চুঁচুড়া হাসপাতালে নির্যাতিতাকে দেখতে আসেন। প্রথমে তিনি কিশোরীর অসুস্থ মায়ের কাছে যান। সেখানে গিয়ে নির্যাতিতার মায়ের সাথে কথা বলেন। সঙ্গে ছিলেন হুগলি সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ সহ অন্যান্যরা। কিশোরীর মাকে দেখার পর তিনি হাসপালের সিসিইউতে গিয়ে কিশোরীর সাথে দেখা করেন। বাইরে বেড়িয়ে পামেলা গোস্বামী বলেন এটাই পশ্চিমবঙ্গ। এই বঙ্গে নারীরা সুরক্ষিত নয়। পাশাপাশি এই আত্মহত্যার চেষ্টার পিছনে তিনি অন্য গন্ধ পাচ্ছেন বলে জানান।