ব্যারাকপুর , ১৮ অক্টোবর:- দিদিমণি পাল্টিবাজ মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার বেলায় টিটাগড়ের মাতারঙ্গী মোড়ে এক রক্তদান শিবিরে এসে এভাবেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে কটাক্ষ করলেন সাংসদ অর্জুন সিং। অনুদান হিসেবে পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে টাক পিটিয়ে পুজো কমিটিগুলোকে টাকা দেবার কথা ঘোষণা করা হল। কিন্তু আদালতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল দাবি করলেন, ওই টাকা মাস্ক, স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াশ কেনার জন্য দেওয়া হয়েছে। আসলে দিদিমণি ফেঁসে গেলেই পাল্টি খান। ওনার কথার সঙ্গে কাজের কোনও মিল নেই। সাংসদের অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের এ টু জেড দুর্নীতিতে যুক্ত। দিদিমণিও দুর্নীতিতে যুক্ত। দাপুটে বিজেপি নেতা আইনজীবী মনীশ শুক্লার স্মরণে ব্যারাকপুর ভলেন্টারি ব্ল্যাড ডোনার্স ফোরামের উদ্যগে ১২ তম রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল।
এদিন ১০০ জন রক্তদাতা স্বেচ্চায় রক্তদান করেন। এমনকি ওই সংস্থার পক্ষ থেকে একজন প্রতিবন্ধীকে সাংসদের হাত দিয়ে হুইল চেয়ারও প্রদান করা হয়। এদিন তিনি জোরের সঙ্গে দাবি করে বলেন, রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় বাংলায় ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সাংসদের দাবি, বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সেক্ষেত্রে সাংবিধান অনুযায়ী বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতেই পারে। কারন, বাংলায় আইন-শঙ্খলা বলে কিছুই নেই। রক্তদানে এসে ভাটপাড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা দাপুটে বিজেপি নেতা সৌরভ সিং দাবি করলেন, ২০২১ সালে বিজেপি ২০০-এর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। বাংলার মানুষ এই অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে ভোট দিতে প্রস্তুত।
এই রক্তদানের অন্যতম উদ্যক্তা রক্তদান আন্দোলনের নেতা প্রদীপ পাত্র। এদিন রক্তদান শিবিরে উপস্তিত ছিলেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার পর্যবেক্ষক প্রবাল রাহা, হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান রাজা দত্ত, টিটাগড় ও গারুলিয়ার বিদায়ী কাউন্সিলর ওমপ্রকাশ গোন্ড ও গৌতম বসু, ব্যারাকপুর মন্ডল-১ সভানেত্রী জয়ন্তী পাল, মিনা সিংহ রায়, প্রাক্তন কাউন্সিলর মিলন কৃষ্ণ আঁশ, অতপুর এক্সাইড পার্মানেন্ট মজদুর মোর্চা ইউনিয়নের সম্পাদক রজত মৈত্র, যুব নেতা কুন্দন সিং, রাজু সাউ, বিশাল যাদব প্রমুখ।