কলকাতা , ৭ অক্টোবর:- পথদুর্ঘটনার হারে লাগাম টানতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ২ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজ শুরু করেছে। একই সঙ্গে ডানকুনিতে চলছে নতুন রাস্তা বানানোর কাজ৷ জাতীয় সড়ক নিয়োজিত ঠিকাদারি সংস্থা ডানকুনি থেকে বর্ধমান অবধি অতি গুরুত্বপূর্ণ এই জাতীয় সড়কের হাল ফেরানোর কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছে। পুজোর আগেই বর্ষায় বেহাল হয়ে পড়া এই সড়কের হাল ফেরানো হবে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। ডানকুনি থেকে বর্ধমান পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশেই একাধিক ছোট বড় গর্ত ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। যার জেরে নিত্যদিন বেড়ে চলছিল দূর্ঘটনা। একাধিক ব্যক্তির চোট লেগেছে। প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। কবে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা সংষ্কার করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবশেষে সেই কাজ শুরু করা হল।
ডানকুনি থেকে আসানসোল। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ গাড়ি যাতায়াত করে। এর মধ্যে একটা বড় অংশ হচ্ছে পণ্যবাহী লরি। এই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে ডানকুনি, সিঙ্গুর, গুড়াপের মতো জায়গায় রাস্তার হাল বেহাল হয়েছে। জাতীয় সড়কের ওপরে ছোট, বড় নানা গর্ত হয়েছে। ফলে জাতীয় সড়ক ধরে দ্রুত গতিতে গাড়ি চলতে গিয়ে যেমন বাধা আসছে তেমনই এই খারাপ অংশের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করার জন্যে রাস্তার অবস্থা আরও বেশি খারাপ হতে শুরু করে দিয়েছে। নামেই জাতীয় সড়ক দূর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে।
গত ছয় মাস রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে তৈরি হয়েছে রাস্তায় গভীর গর্ত। প্রতিদিন ঘটেছে দূর্ঘটনা। হেলদোল নেই NH-2 কর্তৃপক্ষের। বর্ধমান থেকে ডানকুনি প্রায় ৬৫ কিলোমিটার রাস্তা। এই অংশ ব্যবহার করতে হলে দু’বার টোল মেটাতে হয়। টোল ট্যাক্স দিয়ে চলাচল করে বাইক ছাড়া সমস্ত গাড়ি। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতির কারণে ট্রেন বন্ধ থাকায় বর্ধমান থেকে কোলকাতা যাওয়ার অন্যতম রাস্তা হয়ে ওঠে এই দূর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে।
প্রতিদিন এই লকডাউন পরিস্থিতিতে কয়েক হাজার বাইক আরোহী যাতায়াত করছেন দূর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। হুগলির গুড়াপ থানা থেকে ডানকুনি থানা পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কিলোমিটার রাস্তায় কয়েক কিলোমিটার অন্তর তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বিশেষ করে দাদপুর থানা, সিঙ্গুর থানা, চন্ডীতলা থানা ও ডানকুনি থানা এলাকায় এক কিলোমিটার অন্তর রয়েছে রাস্তায় গর্ত। ইতিমধ্যেই এই লকডাউন পরিস্থিতিতে বাইক আরোহী গর্তে পড়ে যাওয়ায় মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।
সম্প্রতি চন্ডীতলা থানার কাঁপাসাড়িয়া গ্রামের কাছে এই গর্তে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কোলকাতার এক পুলিশ অফিসারের। দ্রুতগতিতে চলাচলকারী এই রাস্তায় হঠাৎ করে গর্তে বাইক পড়ে আহত হচ্ছে প্রতিদিন বাইক আরোহীরা। ক্ষতি হচ্ছে বাইকের যন্ত্রাংশ। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে প্রশাসনের নজরদারির অভাব নিয়ে। এছাড়াও অপর এক বাইক আরোহী যিনি দূর্ঘটনার কারণে বাইকের ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে।