এই মুহূর্তে জেলা

করোনা থেকে বাংলার মানুষকে নিরাপদে রাখতে নিরলস চেষ্টা সুমনের।

তরুণ মুখোপাধ্যায় , ১৭ জুলাই:- এই মুহূর্তে করোনা প্রতিরোধে মানব জীবনের প্রধান অঙ্গ হয়ে উঠেছে মাস্ক। সারা পৃথিবীতে যেভাবে এই মারণ রোগ থাবা বসিয়েছে তা থেকে পরিত্রান পাবার প্রধান বস্তু হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে এটি। চিকিৎসকদের নিদান মাস্ক বিহীন অবস্থায় প্রকাশ্য স্থানে চলাফেরা কতটা ভয়ঙ্কর বিপদ জনক। তাই বর্তমানে জনজীবনের প্রধান অঙ্গ হচ্ছে এই বস্তুটি । বাজার জুড়ে রমরমিয়ে চলছে মাস্কের ব্যবসা। কিন্তু এই মাস্ক গুলি কতটা বিজ্ঞানসম্মত তাই নিয়ে বহু অভিযোগ আসছে। মানুষ পয়সা দিয়ে সঠিক জিনিসটা পাচ্ছে না। যে পদ্ধতিতে মাক্স তৈরি হওয়া উচিত সেই পদ্ধতি মানা হচ্ছে না অধিকাংশ ক্ষেত্রে ।তাই বিজ্ঞানসম্মত ভাবে তৈরি মাস্ক সাধারণ মানুষ যাতে পেতে পারেন তার জন্য এগিয়ে এসেছেন হুগলির জনাই জলাপারার সুমন সাহা । তার কারখানায় তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের মাস্ক। সুমনের কথায় আমরা যে মাস্ক গুলো তৈরি করছি বর্তমানে বাজারে যে সমস্ত মাস্ক বিক্রি হচ্ছে তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । বিশেষজ্ঞদের দ্বারা নিদিষ্ট নিয়ম নীতি মেনে আমাদের কারখানায় তৈরি হছে বিভিন্ন ধরণের মাস্ক ।

তবে বাজারে যেগুলো দাম ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকা তার থেকে অনেক কম দামে এই উন্নত মানের মাস্কগুলি আমরা মানুষের হাতে তুলে দেবো । শুধু তাই নয় যেহেতু এটা জনজীবনের একটা অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে , ডিজাইনের ক্ষেত্রেও আমরা নানা বৈচিত্র্য এনেছি। এমনি সাধারণত রাস্তায় বের হবার সময় যে মাস্ক আমরা ব্যাবহার করি তার এক রকম ডিজাইন। এর সঙ্গে সঙ্গে কোন অনুষ্ঠান বাড়ি যে কোন পার্টি বিয়ে বাড়িতে যাবার জন্য আমরা ফ্যাশন এর কথা মাথায় রেখে ডিজাইনার মাস্ক তৈরি করছি। বেনারসি কাপড় দিয়ে যেমন হচ্ছে ,তেমনি শেরওয়ানি এবং জিন্সের কাপড় দিয়ে নানা ধরনের মাস্ক তৈরি করছি আমাদের সংস্থায়। এবং এর জন্য আমরা আই এস ও সার্টিফিকেট পেতে চলেছি। তার জন্য যা যা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তা আমরা জমা দিয়েছি ।

এবং তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের তৈরি মাস্ক কতটা বিজ্ঞানসম্মত সে ব্যাপারেও আমরা ল্যাব টেস্টের জন্য পাঠিয়েছি । আমরা দেখাতে চাই যে বাঙালিরা এই উদ্যোগে কতটা সফল হতে পারে। আমরা চীনের কথা বলি কিন্তু চীনের থেকেও উন্নতমানের মাস্ক যে আমরা তৈরি করতে পারি তা কিন্তু দেখিয়ে দিয়েছি । এবং মাক্স তৈরিতে নানা বিজ্ঞানসম্মত উপায় অবলম্বন করেছি , যেমন এর পেছনে স্পেশাল গার্ড দেয়া হয়েছে এবং কম্প্রেসার দেয়া হয়েছে। কোনমতেই কোন রকম ভাইরাস যাতে এর মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে। একথা জোর গলায় জানালেন সুমন। এর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িক একটা দিক রয়েছে তার কারখানায় যেমন প্রত্যক্ষভাবে ২৫ জন কর্মচারী রয়েছে তার সঙ্গে সঙ্গে বাইরেও এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন আরও ৫০ জন যুবক। সবমিলিয়ে বাংলার মানুষ যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন এবং এই ভয়ঙ্কর করোনা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন তার জন্য নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হুগলির সুমন সাহা।