এই মুহূর্তে জেলা

পনেরো বছর আগে তৃনমূল কর্মি খুনে দোষী সাব্যস্ত আট বাম কর্মি,আগামীকাল সাজা ঘোষনা চুঁচুড়া আদালতে।

হুগলি, ৬ নভেম্বর:- ২০১০ সালের ১৮ মার্চ গুড়াপে খুন হয়েছিলেন তৃনমূল কর্মি ক্ষুদিরাম হেমব্রম। সেদিন ছিলো ছেলে সুনীল হেমব্রমের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মাঠে কাজ করে বন্ধু তপন রুইদাসের বাড়ি গিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি।পরদিন নদীর পারে বস্তা বন্দী মৃতদেহ উদ্ধার হয় তার। রাজনৈতিক কারনে তৃনমূল কর্মি ক্ষুদিরাম হেমব্রমকে কুপিয়ে খুন করে নদীর পারে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গুরাপ থানার পুলিশ তদন্তে নেমে দশজন সিপিআইএম কর্মিকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। চুঁচুড়া আদালতে চার্জ শীট জমা দেয় পুলিশ। বারো জন সাক্ষী দেন এই মামলায়। বিচার পর্ব চলার সময় দুই অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। আটজন জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। আজ তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা। কাল হবে সাজা ঘোষনা। ক্ষুদিরামের ছেলে সুনীল বলেন, সেদিন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ছিলো আমার।

বাবা কাজ থেকে বাড়ি ফিরে বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলো মেয়ের বিয়ের দেখাশোনা ছিলো বলে। সেখান থেকে বাবাকে নিয়ে গিয়ে টাঙি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। বাবা তৃনমূল করতেন তাই তাকে খুন করা হয়েছিল। পনেরো বছর পর বিচার পেলাম। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাই। ধনিয়াখালি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূল নেতা মুন্সি সাকোয়াত হোসেন বলেন, নিশংসভাবে খুন করা হয়েছিল ক্ষুদিরাম কে। সে সময় সিপিএমের আমল সবাই প্রচন্ড ভয়ে খাকত। আমরা ওই পরিবারকে পাঁচ বছর অন্য জায়গায় রেখেছিলাম। আজ সেই মামলার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই মামলার সরকারি আইনজীবী চন্ডী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ চার্জশিট জমা দেওয়ার পর তোমরা সরকারি পক্ষ থেকে বারো জনকে সাক্ষী করেছিলাম। তার মধ্যে আর জি কর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন পোস্ট মর্টেমের চিকিৎসক। তার সাক্ষিতে উঠে আসে ক্ষুদিরামের শরীরে ২১ টি আঘাতের চিহ্ন ছিলো। এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি না হলে যাবজ্জীবন।