হুগলি, ১৩ সেপ্টেম্বর:- ব্যান্ডেলের নলডাঙায় অনুষ্ঠিত নরেন্দ্র কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। খেলাধুলার পরিবেশে উপস্থিত হয়ে তিনি সেনাবাহিনী ও দেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনা করেন। সভায় শুভেন্দু অধিকারী সেনাবাহিনীকে সম্মান জানিয়ে বলেন, “সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানের নির্দেশিকায় বিজেপির অফিসিয়ালরা যেতে পারবে না বলা হলেও, আমি অফিসিয়াল নই। সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানে যাওয়ায় আমার ওপর কোনো বিধিনিষেধ ছিল বলে জানি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। তাই সেনাবাহিনীকে প্রণাম করতে, স্যালুট করতে গিয়েছিলাম। ভারতীয় সেনারা আমার জান, আমার মান। একশো বার সেখানে যাব।” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, রাজ্যের শাসকদলের প্রশ্রয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে তিনি বলেন, “পুরো যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস, ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করতে দেয় না।
বন্দেমাতরম গাইতে দেয় না, জাতীয় সঙ্গীত হয় না, রামনবমী পালন করতে দেয় না, দুর্গাপুজোর বিজয়া সম্মিলনী হয় না। সেখানে এক শ্রেণির আল্ট্রা লেফ্ট রয়েছে যারা ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ বলে। যারা গোমতি থেকে গোদাবরি পর্যন্ত আলাদা দেশের স্বপ্ন দেখায়। ভারতবর্ষের সংবিধান জ্বালিয়ে দেয়। তাদের নাম হচ্ছে মাকু। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের ‘সেক্যু’। মাকু ও সেকুর যৌথ উদ্যোগে যাদবপুরে মদ, গাঁজা, চরস, হিরোইনের আখড়া তৈরি হয়েছে। আমি যাদবপুর গিয়েছিলাম, আমাকে মাকুরা আক্রমণ করেছে। পুলিশ দু’জনকে ধরেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে ছাড়িয়ে দিয়েছেন। সেখানে সিসিটিভি বসাতে দেয় না। ওই জায়গাটাকে রাষ্ট্রবিরোধী আতুরঘর বানানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের সুরক্ষা দিচ্ছেন।”









