এই মুহূর্তে জেলা

খুন করে দেহ কেটে ভাসিয়ে দেওয়া হয় গঙ্গায়! বাঁশবেড়িয়ায় যুবক খুনে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

হুগলি, ২ সেপ্টেম্বর:- গত ১৮ আগস্ট থেকে নিখোঁজ হন হুগলির মগরা থানার অন্তর্গত বাঁশবেড়িয়া ঝুলুনিয়া এলাকার বাসিন্দা লক্ষণ চৌধুরী৩৬)। গত ২১ শে আগস্ট পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় মগরা থানায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এলাকায় স্নিফার ডগ এনে তল্লাশি চালান হয়। পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে গঙ্গাতে তল্লাসী করা হয়। ঘটনায় শিবনাথ সাউ ওরফে শিবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মগরা থানার পুলিশ শিবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে দিঘায় ঘুরতে গিয়েছিল লক্ষণ। সেখান থেকে ফিরে আসার পর শিবু বাড়ি থেকে লক্ষণকে ক্লাবে ডেকে নিয়ে যায় বলে দাবি করে লক্ষনের পরিবারের। ঘটনার সঙ্গে শিবু যুক্ত আছে বলে প্রাথমিক অনুমান করে পুলিশ। এরপর শিবুকে গ্রেপ্তার করে জেরা করতেই লক্ষণকে খুনের কথা স্বীকার করে শিবু দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুরোনো শত্রুতার জেরেই খুন করা হয় লক্ষণকে। প্রথমে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় লক্ষণকে। খুনের পর প্রমান লোপাট করতে দেহ চপার দিয়ে টুকরো টুকরো করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। হুগলি গ্রামীন পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র জানান, নিখোঁজের একটা অভিযোগ দায়ের হয় মগরা থানায়। আমরা সেই মতো শুরু করি।

অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর নিখোঁজ যুবককে খুঁজে পেতে সব রকম প্রচেষ্টা চালায় পুলিশ। অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে যুবককে তারা খুন করেছে। সেইম তো আমরা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করি। খুনে ব্যবহৃত একটি ছুরি এবং গামছা উদ্ধার হয়। এখনো পর্যন্ত দেহ পাওয়া যায়নি। আশেপাশের সমস্ত থানা রেল পুলিশকে আমরা জানিয়েছি। স্নিফার ডগ নিয়ে এসেও আমরা তল্লাশি চালিয়েছি। এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ ও খতিয়ে দেখা হয়েছে। এলাকার অনেক জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দেহ খুঁজে পাওয়ার জন্য আমরা সব রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। এতদিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে জানা গেল লক্ষণকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু তার দেহ বা দেহের অংশ এখনো পাওয়া যায়নি। তাই পরজয় মোকাবেলা দপ্তরের দল নামিয়ে গঙ্গা বিভিন্ন ঘাটে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। মৃত যুবকের পরিবার জানিয়েছে, ১৫ দিন পর পুলিশ এসে বলছে লক্ষণকে খুন করে গুম করে দেওয়া হয়েছে। অনেকদিন আগেই তো গ্রেফতার করা হয়েছিল শিবুকে তাহলে এতদিন পরে সে কেন স্বীকার করছে। এর পিছনে কোন প্রভাবশালীর হাত আছে। পুলিশ সেটা খুঁজে বের করুক অথবা সি আই ডি-কে দিয়ে তদন্ত করাক। বলেন, মৃত যুবকের বোন সুমিত্রা চৌধুরী। যুবকের ভাই রাহুল চৌধুরী বলেন, পুলিশ যে দাবি করছে সেটা সঠিক নয়।সিবিআই তদন্ত হোক।