এই মুহূর্তে জেলা

স্বপ্ন ছিল ভারতের জাতীয় সিনিয়র দলে খেলে চাকরি পাওয়া, বাস্তবায়িত করতেই চলছে লড়াই।

হুগলি, ২৫ জুন:- ভদ্রেশ্বর ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাবে ভলি খেলেন অনেক তরুন তরুনী। তাদের মধ্যে অনেকেই রাজ্যের হয়ে ভলি খেলছেন। তবে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার লড়াই চলছে তাদের। লড়াই একটা ভালো চাকরি পাওয়ার। জাতীয় দলে খেলা ভলি খেলোয়ার কুনাল দাস, গত বছর ভারতের অনূর্ধ্ব ১৮ দলের অধিনায়ক ছিলেন। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ানশিপ খেলেছেন। এবার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে উজবেকিস্তান থেকে ব্রোঞ্জ মেডেল জিতে ফিরেছেন। কুনাল জানান, ভলি খেলে এখন চাকরি পাওয়া কঠিন। বাংলায় সুযোগ কম। আমি নিজে বাংলা ছেড়ে হরিয়ানায় ছিলাম এখন কেরলে আছি। যে খেলোয়াররা দেশের হয়ে রাজ্যের হয়ে খেলছে তাদের একটা চাকরির ব্যবস্থা হলে তারা নিশ্চিতে খেলতে পারে। কারন বেশিরভাগ ভলি খেলোয়ার নিম্ন আয়ের পরিবার থেকে আসে। সুষমা সাউ ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাব থেকে ভলি খেলে ইস্টার্ন রেলওয়েতে চাকরি করছেন। তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন ভারতের সিনিয়র দলের হয়ে খেলা এবং ইন্ডিয়ান রেলওয়ের হয়ে খেলা।

খুব কম বয়সে ছেলে চাকরি পেয়েছি এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সাফল্য আসবেই কঠোর পরিশ্রম করলে। ক্লাবের কোচের সহযোগীতা পেয়েছি অনেক। ভদ্রেশ্বরের ভলি খেলার চর্চা অনেক দিনের। বেশ কয়েকটি ক্লাব রয়েছে যেখানে অনেক ছেলেমেয়েরা ভলি খেলে। নিজেদের ভবিষ্যৎ তৈরি করে এবার দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে। ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাব সেরকমই একটি ক্লাব। ইউএসি ক্লাবের সহ সম্পাদক শুভেন্দু নিয়োগী বলেন, আমাদের ক্লাব থেকে অনেক ভলি খেলোয়ার তৈরী হয়েছে যারা রাজ্য দেশের হয়ে খেলেছে। এখন যারা ভলি খেলতে আসে বেশিরভাগই আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের। তাই ক্লাবের অনেক দায়বদ্ধতা আছে।সারা বছর ভলি অনুশীলনের জন্য ইনডোর ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারী অনুদানে।আরো কিছু সাহায্য পেলে আগামী দিনে অনেক ভালো খেলোয়াড় দিতে পারবে ক্লাব।