এই মুহূর্তে জেলা

স্বামীকে খুনের ঘটনায় ১২ বছর পর স্ত্রী সহ সাত জনকে দোষী সাব্যস্ত করল চুঁচুড়া আদালত।

হুগলি, ২৪ জুন:- প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে পথের কাঁটা স্বামীকে সরানোর পরিকল্পনা, খুনের সুপারি দিয়েছিলেন স্ত্রী! নাবালক ছেলের সাক্ষিতে বারো বছর পর দোষী সাব্যস্ত মা সহ সাতজন। পোলবা থানার পাটনা গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ মালকে গলা কেটে খুন হন ২৮ মার্চ ২০১২ সালে।পুলিশ যখন খবর পেয়ে তদন্তে যায় কৃষ্ণা মালের স্ত্রী রীনা মাল পুলিশকে জানান, বাড়িতে ডাকাত পরেছিল।তাকে আর ছেলেকে হাত বেঁধে তার স্বামীকে খুন করে গহনা টাকা লুট করে ডাকাত দল। দুষ্কৃতিরা তাকে ধর্ষন করে বলেও সে সময় অভিযোগ করেছিলেন। পোলবা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারে। কৃষ্ণ মালের সঙ্গে তার স্ত্রী রীনা মালের বয়সের ফারাক ছিল প্রায় কুড়ি বছরের। তাদের বারো বছরের এক ছেলে রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে সুখি ছিলেন না রীনা। বলাগড়ের জিকো পাল নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয় তার। জিকো বলাগড় থেকে পোলবায় যাওয়া আসা করত বাইক নিয়ে। সেই প্রেমিকের সঙ্গে যুক্তি করে পাঁচজন দুষ্কৃতিকে সুপারি দেওয়া হয় কৃষ্ণকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার। পরিকল্পনা মাফিক ঘটনার দিন দুষ্কৃতিরা গভীর রাতে কৃষ্ণ মালের বাড়িতে ঢোকে।দরজা খুলে দেন রীনা।

ডাকাতি করতে এসে গৃহকর্তাকে খুন করে দিয়ে গেছে ডাকাতরা এমনই পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু পুলিশি তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রীনার জিকোর সঙ্গে প্রেম, তার স্বামীকে খুন সাজানো ডাকাতি সব পরিকল্পনা জানতে পারে তদন্তকারীরা। এরপর ৪ ঠা এপ্রিল একে একে অভিযুক্ত, রীনা মাল জিকো পাল, দীপঙ্কর পাল, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, লক্ষীকান্ত চক্রবর্তী, অভিজিৎ চক্রবর্তী, রাজা দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চুঁচুড়া আদালতের সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ রায় চৌধুরী বলেন, এই মামলায় ১৮ জন সাক্ষি দেয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো মৃতের নাবালক ছেলের বয়ান। ধর্ষনের যে অভিযোগ ছিল তা মেডিকেল পরীক্ষায় প্রমান হয়নি। আজ চুঁচুড়া আদালতের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক কৌস্তভ মুখোপাধ্যায় সাতজনকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। আগামী ২৬ জুলাই হবে সাজা ঘোষনা। রীনা মাল গত ১৩ বছর ধরেই হুগলি জেলে বন্দি।চারজন দুস্কৃতি একবার পুলিশের চোখে লঙ্কার গুরো দিয়ে পালিয়ে আবার ধরা পরে।সবাই বিভিন্ন জেলে বন্দি।