হুগলি, ২১ এপ্রিল:- এ চোর নিশিকুটম্ব বা সিঁধেল চোর নয়, ভাব জমিয়ে বাইক চুরি করা তার পেশা।এখনো পর্যন্ত শতাধিক বাইক চুরির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।হুগলি নদীয়া, পূর্ব মেদিনীপুর,পূর্ব বর্ধমানে তার অবাধ গতিবিধি।অচেনা অজানা লোকের সঙ্গে নানা অছিলায় ভাব জমিয়ে তার বাইক নিয়ে কেটে পরা তার কাজ। অভিযোগ থানা পুলিশ গ্রেফতার সবই হয়েছে কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েও পালিয়েছে কয়েকবার। সেই চোর বাসুদেব মন্ডল ওরফে বালুসা ওরফে রাজকুমার।
তাকে হেফাজতে নিয়ে চোরাই বাইক উদ্ধার করল বলাগড় থানার পুলিশ। অনেক দিন ধরে পুলিশ তার কিছুতেই নাগাল পাচ্ছিল না।অথচ বাইক চুরির অভিযোগ আসছিল।তার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। এর আগে পূর্ব বর্ধমান এর কালনা থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়।হুগলির বলাগড়ের একতারপুর পঞ্চায়েতের মাজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার। চলতি বছরের মার্চ মাসের দশ তারিখ শেওড়াফুলি স্টেশনে একটি মারামারির ঘটনায় জিআরপি তাকে আটক করে। পরে তার ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠালে প্রথমে পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানা তাকে হেফাজতে নিয়ে যায়।
হুগলি গ্রামীন পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র বলেন, বলাগড় থানাতেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় গত ১৭ তারিখ তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ছটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ তাকে চুঁচুড়া আদালতে পাঠায় পুলিশ। হুগলী গ্রামীণ জেলা পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্রের অফিসে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলা গড় থানার ওসি সোমদেব পাত্র, রোহন মল্লিক ও এই কেসের তদন্তকারী অফিসার বিশ্বনাথ দে সহ অন্যান্যরা।