হুগলি, ১৮ ফেব্রুয়ারি:- কুম্ভে রেলের চরম অব্যবস্থা নিয়ে সেলিম বলেন,গণপরিবহন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছে।সরকারি পরিবহন ব্যবস্থার কিছু নেই যে যার নিজের নিজের ভরসা। পদপৃষ্ঠ হয়ে লোক মারা যাচ্ছে আর অন্যদিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর যে কোন জায়গায় আমাদের দেশেও যেকোনো তীর্থে অসংখ্য মানুষের সমাগম হয়।এত বছর পরে এত প্রস্তুতি নিয়ে যখন কুম্ভ মেলা হচ্ছে সেটা কি শুধু ভিআইপিদের স্নানের জন্য না ছবি তোলার জন্য। সাধারণ মানুষ যে যাচ্ছে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা কি হবে। রেলে কোনো রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। কারণ রেলে কোন মন্ত্রী নেই।স্বাধীনতার পরে এই প্রথম ভারতবর্ষে পূর্নাঙ্গ কোন রেলমন্ত্রী নেই।সবসময়ের জন্য একটা রেলমন্ত্রী দিতে হবে তো না হলে রেলটা চলবে কি করে। চারিদিকে বোমা বন্দুক পিস্তল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন সব উদ্ধার হবে কিছুই উদ্ধার হয়নি উল্টে বেড়েছে। আগে ছিল খুন করলে তৃণমূল এখন খুল হলেও তৃণমূল। ডানকুনিতে সিপিআইএম এর রাজ্য সম্মেলনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। সেলিম বলেন, রাজ্য সম্মেলন থেকে তিন বছরের জন্য কমিটি তৈরি হবে।
২৫ শে যেদিন সম্মেলন শেষ হবে তারপরে ২৬ নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হবে। সিঙ্গুর ও শিল্প প্রসঙ্গে বলেন,,,এই রাজ্যে শিল্পের যে সম্ভাবনা ছিল সেই সম্ভাবনাকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করা হয়েছে। কন্যা ভ্রুণ হত্যা করা হয় যেমন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি মাওবাদী জামাত জমিয়াত দেশে বিদেশের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি সবাই মিলে পশ্চিমবঙ্গের শিল্প সম্ভাবনার ভ্রুণ হত্যা করেছে।এটা হুগলিতে আজকে পরিষ্কার।এই জন্যই ডানকুনিতে আমাদের রাজ্য সম্মেলন। গোটা রাজ্য দেখবে সিপিআইএম এর কিভাবে পুনরুত্থান ঘটছে।পশ্চিমবঙ্গে কিভাবে দেশি-বিদেশি শক্তি, শুভেন্দু মমতা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রামের এবং আমাদের রাজ্যের সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছেন এবং নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। তাকে প্রতিরোধ করা তার প্রতিবাদ করা এবং প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রাজ্য তৈরি হচ্ছে। কাকুর জামিন প্রসঙ্গ,,,ইডি সিবিআই কেন্দ্রীয় এজেন্সি আরএসএস বিজেপি কার হয়ে কাজ করছে।
আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম। একটা কাকুর গলার স্বর নিতে দেড় বছর লাগল। তার ওপর দাঁড়িয়ে তামাশা।তারপর অসুস্থ হলো গলার স্বর পাল্টানো হলো স্যাম্পেল নেয়া হলো। একবার যখন স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছে তার রিপোর্টের দরকার কি। মোদ্দা কথা হচ্ছে চুরি জোচ্চুরি দুর্নীতি টাকা পাচার স্মাগ্লিং তৃণমূল করবে। আর বিজেপি তার সহায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। এটাই তো রাজনীতি আজকে। কোর্ট কোর্টের শর্ত সেসব মাথার উপরে। যারা প্রসিকিউট করছে তাদের ভূমিকা কি আছে। যারা তদন্ত করছে তাদের ভূমিকা কি আছে। এই কাকুকে দেখেই তো লোকে বুঝতে পারলো, সিবিআই এর দৌলতে এটা জানা গেল তৃণমূল কার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কিভাবে দুর্নীতিটা করে। কিভাবে অভিষেক ব্যানার্জি বিদেশে টাকা পাচার করে। কিভাবে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে আর এখন শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে টানাটানি হচ্ছে।