হুগলি, ৩১ জানুয়ারি:- সাধারন মানুষের নাম করে শাসক দলের নেতা কর্মিদের মধ্যে বিতরন করা হল হেলমেট। বিজেপির কটাক্ষ, শাসক নেতারা ট্রাফিক আইন মানেন না তাই তাদের হেলমেট দিতে হয়। সাধারন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। পরিবহন দপ্তরও পথ নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে। আজ চুঁচুড়ায় ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রোড সেফটি মেলার আয়োজন করে হুগলি জেলা পরিবহন দপ্তর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, জেলা শাসক মুক্তা আর্য, চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, বিধায়ক অসিত মজুমদার সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারীকরা। সেই অনুষ্ঠানে সাধারন মানুষের হাতে হেলমেট তুলে দেওয়া হয়। যারা হেলমেট নেন তারা তৃনমূলের কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সদস্য, বিধায়কের গাড়ির চালক থেকে তৃনমূলের পদাধিকারী তৃনমূল কর্মিরা। আর এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী বিজেপি। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, তৃণমূলের যারা কাউন্সিলর পঞ্চায়েত এর প্রতিনিধি রয়েছেন তারাও সচেতন নন এটা ধরে নিতে হবে। পরিবহন মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যেখানে হেলমেট দেওয়া হল, কাদের দেওয়া হল তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি থেকে নেতাদের।
নাকি সরকারি মাল যা পাওয়া যায় সেটাই লুটে নাও। তৃণমূল চুরি করতে করতে সরকারি পয়সা সব শেষ করে দিয়েছে।সেখানে দেখা যাচ্ছে একটা সামান্য হেলমেট নিতে তারা কার্পণ্য বোধ করছেন না।সরকারি অনুষ্ঠানে তৃণমূলের লোকজনকেই কিছু পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি চলছে। যদিও পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী এ বিষয়ে বলেন, রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় আমরা অনুষ্ঠান করে সাধারণ মানুষের হাতে হেলমেট তুলে দিচ্ছি। আমি জাঙ্গিপাড়াতেও প্রায় আড়াইশো হেলমেট দিয়েছি। সেখানে অনেক সাধারণ মানুষও পেয়েছেন। যিনি টু হুইলার চালান তিনি এমএলএ না এমপি না জনপ্রতিনিধি না সাধারণ মানুষ এটা বিচার্য নয়। যিনি টু হুইলার চালাচ্ছেন তাদের নিরাপত্তা দরকার। প্রতিটা মানুষেরই নিরাপত্তা দরকার। এখানে যেটুকু দেওয়া হয়েছে, যারা হাতের কাছে ছিলেন বাইক নিয়ে এসেছেন তাদেরই মাথায় পড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, এটা সাধারণ মানুষ কারো কোন সিম্বল নেই। এটা জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেওয়া হয়নি যারা টু হুইলার চালায় তাদের জন্য দেওয়া হয়েছে।