এই মুহূর্তে জেলা

চন্দননগর হাটখোলা রাস্তায় ধস!

হুগলি, ৬ জানুয়ারি:- আশেপাশের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা।কাজ ঢিমে তালে হচ্ছে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থায়ী সমাধানে সময় লাগবে দাবী মেয়রের। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় হাটখোলা রোড অর্থাৎ যে রাস্তা দিয়ে জগদ্ধাত্রীর শোভাযাত্রা যায় সেই রাস্তায় বড়সড় ধস নেমেছিলো। সেই সময় তড়িঘড়ি শোভাযাত্রার জন্য রাস্তায় সারাই করে কেএমডিএ ও চন্দননগর পুরনিগম। সেই রাস্তায় আবারো ধস নেমেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এই জায়গার ধস নামার সমস্যা দীর্ঘদিনের।পুরনিগম মাঝেমধ্যে কাজ করলেও কোন স্থায়ী সমাধান করছেনা। পুজোর সময় অস্থায়ীভাবে রাস্তা বানিয়ে দেয়। এই রাস্তা দিয়ে একাধিক স্কুলের গাড়ি যাতায়াত করে। জিটি রোডের পাশাপাশি এটাও মেন রোড হিসাবে ব্যবহার হয়। যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে আশঙ্কা।ধসের জায়গার পাশে একাধিক আবাসন বহুতল বাড়ি রয়েছে, যা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কারন শোভযাত্রার সময় রাস্তার সারাই করতে শুধু বালি ও ইট দেওয়া হয়েছিলো।

সেই বালি আবারো সরে গিয়ে ভিতরে ফেঁপে গেছে, যার ফলে নিচে থেকে জল বের হচ্ছে।সেই ধস দিনদিন বেড়ে চলেছে। কেএমডিএ-র কর্মিরা কাজ শুরু করলেও তা খুব ধির গতি তে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আজ ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন চন্দননগর পুরনিগমের মেয়র রাম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, পুজোর সময় আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করেছিলেন। তবে এখন আবার কোথা থেকে এই জলের সোর্স আসছে তা দেখতে হবে। কারন চন্দননগরে ফরাসি আমলের সুয়ারেজ লাইন আছে, জলের পাইপলাইন আছে, গ্যাসের লাইন আছে, ইলেক্ট্রিক লাইন আছে। ফলে প্রত্যেকটা দপ্তরকে নিয়ে কাজ করতে হবে। কাজ ধীর গতিতে হবে, কারন আমরা চাই এটার স্থায়ী সমাধান হোক।গঙ্গারধার বরাবর বিভিন্ন জায়গায় এমন সমস্যা হচ্ছে। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছে।এক মাস সময় লাগবে। আগামীদিনে ট্রাফিক কে বলে রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।