এই মুহূর্তে জেলা

চুঁচুড়া হাসপাতালে রোগী নিখোঁজ, চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।

হুগলি, ১৭ ডিসেম্বর:- চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হুগলি জেলার সপ্তগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত মহানাদ শীতলা এলাকার বাসিন্দা মানস কর (৪৩) নামে এক রোগী নিখোঁজ হওয়ায় উদ্বিগ্ন তার পরিবার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মানস কর গত ১০ ডিসেম্বর ভোরে একটি অস্ত্রোপচারের জন্য চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন, অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর, সফলভাবে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই তিনি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিখোঁজ রোগীর পরিবার জানায়, অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার পর থেকেই মানস কর বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছিলেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে তার দাদা হাসপাতালে গিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু তখনই জানা যায়, মানস কর হাসপাতালের নির্ধারিত বেড থেকে নিখোঁজ। ঘটনার পরপরই মানস করের পরিবার তার খোঁজ শুরু করে। হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ড, করিডর, এবং চারপাশের এলাকায় সন্ধান চালিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বিকেল পর্যন্ত কোনও খোঁজ না মেলায় পরিবারের উদ্বেগ চরমে পৌঁছায়।পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে, কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং নিজস্ব পর্যায়ে অনুসন্ধান চালায়।

কিন্তু তাতেও মানস করের কোনও হদিস মেলেনি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চুঁচুড়া থানায় ঘটনাটি জানায় এবং প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আবেদন করে। হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এই ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি আশ্বাস দেন যে পুরো ঘটনা নিয়ে যথাযথ তদন্ত হবে এবং রোগীর সন্ধানে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ঘটনা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। রোগীর নিখোঁজ হওয়ার খবরে এলাকাবাসী এবং পরিবারের লোকজন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একটি জেলা হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রোগী নিখোঁজ হওয়া অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। মানস করের সন্ধান পাওয়া না গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তার পরিবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। রোগীর খোঁজ এবং ঘটনার আসল কারণ জানতে হাসপাতাল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হতে পারে বলে জানা গেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পরিচালনার ওপর আলোকপাত করেছে। মানস করকে দ্রুত উদ্ধার করতে প্রশাসনের ভূমিকা এখন দেখার বিষয়।