উঃ২৪পরগনা, ১৬ ডিসেম্বর:- সরকারি স্কুল থেকে উধাও একটি আস্ত বট গাছ। যা নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কামারহাটী বিধানসভা এলাকায়।বেলঘরিয়া দেশপ্রিয় বিদ্যানিকেতন স্কুলের মাঠে ছিল একটি প্রাচীন বটগাছ। হঠাৎ করেই সেটি কেটে ফেলার অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আগামী ৩১শে ডিসেম্বর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৭৫ বছরে পদার্পণ করছে তার আগেই ৭৫ বছরের স্মৃতি ফলক হিসেবে স্কুলে থাকা বটগাছটিই কেটে ফেলল স্কুল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি উন্নয়নের জন্যই মাঠ বড় করতে কাটা গেছে বটগাছ। কিন্তু কোন রকম অনুমতি ছাড়া বটগাছ বা কোন গাছ কি কাটা যায়?? প্রশ্ন তুলছে সমাজ প্রেমীরা। বন দপ্তরের কাছে কি কোন রকম লিখিত অনুমতি চাওয়া হয়েছিল? এ প্রসঙ্গে কোনো রকম সদুত্তর দিতে পারেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অতীতে এই বট গাছের নিচেই একটি মঞ্চ তৈরি করেছিল প্রাক্তনী সংসদ ব্যক্তিগত টাকায় নাম ছিল পৃথ্বী – রজনীমঞ্চ। সেই মঞ্চেই একাধিক সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও আয়োজন হতো। আজ সে সব অতীত। উন্নয়নের দোহাই দিয়ে ফুল কর্তৃপক্ষ সেই আস্ত বটগাছটাই কেটে ফেলল। প্রতিদিন যেভাবে বিষ্ণু উষ্ণায়ন ক্রমাগত বাড়ছে দূষণের মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে এই পরিস্থিতিতে একটি স্কুলের ভেতরের বটগাছ কিভাবে কাটা হলো তা নিয়ে রীতিমতো দ্বিধা বিভক্ত স্কুলেরই শিক্ষক শিক্ষিকারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষিকা বলেন কি বটগাছটি বহু পুরনো এই বটগাছটি ঘিরে বহু ছাত্রদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। কেন কাটা হল সেটা কোনভাবে বুঝতে পারছি না। অন্যদিকে আরও এক শিক্ষক বলেন কতৃপক্ষ বলেছে উন্নয়ন করবে মাঠ পরও করবে। কিন্তু খেলার মাঠ বড় করতে গিয়ে পরিবেশ ক্ষতি হবে এমনটা তো কখনো পরিবেশ আইন বলে না। প্রাক্তন ছাত্র বলেন পূর্ণ ধোঁয়াশায় রেখে পরিচালন সমিতি এবং প্রধান শিক্ষক এই গোটা কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। ইরাক প্রাক্তন শিক্ষক বলেন চাকুরীর অত অবস্থায় দেখেছি ছোট ছোট বাচ্চারা ওই বট গাছ খেলতো অনেকের একটা স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ওই গাছটার সঙ্গে হঠাৎ করে কেন এই গাছটা কাটা হলো কোনো রকম কারণ বুঝতে পারছি না উন্নয়ন তো আগেও হয়েছে। এই গোটা বিষয় শিক্ষা দপ্তর এবং বন দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ইতিমধ্যেই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বয়স ৭৫ এ পড়ার আগেই যে ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলল এই স্কুল যা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন উঠছে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে।পরিবেশ বিদ প্রশান্ত ব্যানার্জি বলেন ” অবিলম্বে সরকারের উচিৎ হস্তক্ষেপ করা।”