হুগলি, ১৫ ডিসেম্বর:- সন্দীপ ঘোষ টালা থানার ওসিকে তথ্য প্রমান ছাড়াই আন্দোলনের চাপে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই, তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট না দিতে পারা এবং জামিন হওয়া প্রসঙ্গে বললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশে কংগ্রেস রাজ্যে সিপিএম এর অবদান নিয়েও বিজেপিকে আক্রমন। শ্রীরামপুরের তৃনমূল সাংসদ বলেন, সিবিআই যখন সন্দীপ ঘোষ আর ওসিকে গ্রেফতার করলো তখন তাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও সে কথা বলেছিল। সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যে কোন প্রমাণ দেখাতে পারল না। ৯০ দিনের মধ্যে যদি চার্জশিট জমা না দিতে পারে স্বাভাবিকভাবেই জামিন পাবে। এটা হল আইনের কথা। এ প্রসঙ্গে আমি আগেই বলেছি, ক্রিমিনাল কেসে, কে অভিযুক্ত হবে, কার বিরুদ্ধে চার্জশিট হবে, কার বিরুদ্ধে কনভিকশন হবে সেটা আমার অনুমানের উপর নির্ভর করে না। এর জন্য সাক্ষ্য প্রমাণ চাই। কিন্তু আজকে যে জিনিসটা দেখা যাচ্ছে সিবিআই যে গ্রেফতার করেছিল তা সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই করেছিল এবং যারা আন্দোলন করেছিল ডাক্তাররা এখানে সিপিএম বিজেপি ছিল তাদের চাপেই সিবিআই এটা করেছে।
এখন যদি দেখা যায় যে সিবিআই সত্যি সত্যি ওদের বিরুদ্ধে চার্জশিট না দিতে পারে তাহলে ৯০ দিনের আটকে রাখাটা তো বেআইনি হয়ে গেল। এটা কাদের জন্য হলো? এরা চাপ দিয়ে করাচ্ছে। থ্রেট কালচার কারা করছে সেটাই এখন দেখার,আন্দোলনের নামে থ্রেট চলছে। আন্দোলন করে কিছু হয় না। যারা নেমেছেন তাদের বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। আপনারা তথ্য প্রমান গুলো সিবিআই এর হাতে দিয়ে দিন। কল্যাণ আরো বলেন, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে কংগ্রেসের মত কোন দলের অবদান নেই। স্বাধীনতার আগে নয় বছর জেলে ছিলেন। এই দেশের অখন্ডতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে গিয়ে গান্ধী পরিবারের দুজন ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধী তাদের প্রাণ দিয়েছেন।
তাদের রক্তা লেগে রয়েছে মাটিতে। তাই আজকে ক্ষমতায় আছেন কালকে থাকবেন না তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ কেউ যদি করে সেটা কি ভালো লাগবে। কখনো কারো কাজ ভালো লাগতে পারে, খারাপ লাগতে পারে মানুষ তার বিচার করে দেয়। এটা আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রের সংস্কৃতিই নয় নয় এভাবে সমালোচনা করা। ইন্দিরা গান্ধী যখন পারছিল না তখন তো মানুষ রায় দিল তারপর মুরাদ যে দেশাই প্রধানমন্ত্রী হল কিন্তু তিনিও পারলেন না তখন মানুষ আবার কংগ্রেসকে নিয়ে এলো এটাকে না মেনে তো উপায় নেই। যেমন জ্যোতি বসুর একটা অবদান পশ্চিমবঙ্গের জন্য আছে এটা তো মানতে হবে। আমি রাজনৈতিকভাবে মোদির বিরুদ্ধে কিন্তু মোদির তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শ্রদ্ধা করব। মানুষ তো এমনিই পন্ডিত জহরলাল নেহেরু কে জেতাই নি। যেমনি মোদিকে জিতিয়েছে তেমনি নেহেরুকেও জিতিয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধীকে জিতিয়েছে মনমোহন সিং কে ও জিতিয়েছে।