হুগলি, ৪ ডিসেম্বর:- পুরোসভার বিদ্যুৎ বিভাগে কাজ করে শহর আলোকিত করলেও, নিজের বাড়িতেই অন্ধকার! তিনমাস বেতন পাননি, বিদ্যুৎ এর বিল মেটাতে না পারায় লাইন কেটে দিয়ে যায় বিদ্যুৎ দপ্তর। সহকর্মিরা তখন পুরসভার গেটে আন্দোলন করছেন বকেয়া বেতনের দাবীতে। দেবাশিষের বাড়িতে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছে শুনে সহকর্মিরা গামছা পেতে চাঁদা তোলা শুরু করেন। দশ কুড়ি টাকা করে অনেকেই দেন।যা ওঠে তা নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরে গিয়ে বিল মেটান দেবাশিষ। নিজেদেরই নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। দীর্ঘ তিন মাস বেতন হয়নি হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার অস্থায়ী পৌর কর্মচারীদের। তবু সহকর্মীদের পাশে দুর্দিনে তারাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভার বিদ্যুৎ দপ্তরের অস্থায়ী কর্মচারী দেবাশীষ চক্রবর্তী।তার বাড়ির তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল মেটাতে না পাড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়ে যায় বিদ্যুৎ দপ্তর। এই কথা সে তার আন্দোলনের সহসাথীদের জানানো মাত্রই তার পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সহকর্মীরা।তার এই বিলের টাকা তোলার জন্য গামছা পাতা হয়, সকলের সাধ্যমত অর্থ সহযোগিতা করে তার বিলের অর্থ তুলে দেন সহকর্মির হাতে। পৌর কর্মচারী সংগঠনের নেতা অসীম অধিকারী বলেন, আমাদের এক সহকর্মি যে কিনা বিদ্যুৎ দপ্তরেই কাজ করেন বিল মেটাতে পারেননি বলে তার লাইন কেটে দিয়ে যায়।
আমরা সাহায্য করেছি।কিন্তু পুরসভা তিন মাস বেতন দেয়নি। কি করে চলবে সবারই এক অবস্থা। দেবাশীষ চক্রবর্তী সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, পুরোসভার বেতন পাইনি। একটা ভাড়ার টোটো চালাই সংসার চালাতে। পাঁচ হাজার ছশো টাকা বিদ্যুৎ এর বিল এসেছে। দিতে পারিনি তাই লাইন কেটে দিয়েছে। আমার ছেলের পরীক্ষা চলছে। ঘর অন্ধকার থাকবে। সহকর্মিদের বললাম।ওরা সবাই সাহায্য করেছে। অন্যদিকে বেতন না হওয়ায় জল আলো ছাড়া অন্য পরিষেবা বন্ধ রেখেছে চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। ফলে শহরে জঞ্জলের স্তূপ জমছে। নর্দমা নিকাশি জঞ্জাল সাফাই বন্ধ থাকায় শহরে দূষন দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সমস্যা মেটানোর জন্য দু সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে। পুরো প্রধান অমিত রায় জানান,নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। কিন্তু সেটা বন্ধ রেখে আন্দোলন করলে মানুষ ভালোভাবে নেবে না। বেতনের সমস্যা আছে কেন্দ্র সরকার পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা দিচ্ছে না। আগে একটা ফান্ডের টাকা অন্য খন্ডে খরচ করা যেত এখন আর সেটা করা যায় না।জল দপ্তরে অনেক টাকা এসে পড়ে আছে কিন্তু সেই টাকা আমরা কর্মীদের বেতনে খরচ করতে পারছি না।