এই মুহূর্তে জেলা

হুগলিতে প্রয়াত সাংবাদিক।


হুগলি, ২১ অক্টোবর:- চুঁচুড়ার কামারপাড়া সংলগ্ন শ্যামবাবুর ঘাটের বাসিন্দা পাঁচুগোপাল রাজমল্ল (পাঁচুদা) চির বিদায় নিলেন। পেশায় ভারতীয় ডাকঘরের কর্মী হলেও দীর্ঘদিন ধরেই সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। তাঁর হাত ধরেই ‘ডান্স বাংলা ডান্সে’র ন্যায় ‘ডান্স হুগলি ডান্স’ প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয় হুগলি জেলায়। একইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমেও ছিল তাঁর বিচরণ। খবর পড়তে ভালবাসতেন। ভালবাসতেন খবর করতেও। কখনও ছোট কাগজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন আবার কখনও নিজেই ইউটিউব চ্যানেল করে খবর করার নেশায় বুঁদ থেকেছেন। তাঁর প্রয়াণে জেলা সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেলেন। সাম্প্রতিককালের সময়টা খুব একটা ভাল যাচ্ছিল না তাঁর। একটানা চিকিৎসা চলছিল। তার মধ্যেই কয়েকমাস আগে চকবাজার পোস্ট অফিসে কর্মক্ষেত্রে গিয়ে সর্পদংশনের কবলে পড়েন। শারীরিকভাবে ভেঙে পড়লেও খবর করার মানসিকতা ছিল দৃঢ়। তাই অসুস্থ অবস্থাতেও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে নানান অনুষ্ঠান করে গিয়েছেন। রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও বিচরণ ছিল পাঁচুদার।

একদা বামপ্রীতি থাকা পাঁচু পরবর্তীতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। চাকরি জীবনে আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন বিএমএসের সঙ্গেও যুক্ত হন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগযোগ ছিল তাঁর। রবিবার, সন্ধ্যায় সাইকেল নিয়ে তিনি সুগন্ধা অমরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর। স্থানীয়রাই তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। রাতেই স্থানান্তর করা হলে পরিবারের লোকজন তাঁকে কল্যাণীর এইমসে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। কিন্তু সেখান থেকে আর ফিরলেন না তিনি। ওই হাসপাতালের শয্যাতেই গভীর রাতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন সকলের প্রিয় পাঁচুদা। সোমবার সকালে পাঁচদার মরদেহ বাড়ি সহ নিয়ে যাওয়া হয় চুঁচুড়ার মুখ্যডাকঘর ও চকবাজার পোস্ট অফিসে। সেখান থেকে বাড়ির কাছেই শ্যামবাবুর ঘাটে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা সুবীর নাগ সহ জেলার বহু সাংবাদিক ও আত্মীয় পরিজন এবং শুভানুধ্যায়ীরা। পাঁচুদার মৃত্যুতে সমাজমাধ্যমে শোকজ্ঞাপন করেন হুগলির প্রাক্তন সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকেই।