হুগলি, ৭ সেপ্টেম্বর:- হরিপাল থানার পুলিশ খবর পেয়ে ওই নাবালিকা কে উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি এদিন সন্ধ্যায় নাবালিকাকে অন্ধকার গলির মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পরে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। নাবালিকার নিম্নাঙ্গের পোশাক কিছুটা দূরে পরে ছিল। পাড়ার মহিলারা খবর পেয়ে তাকে পোশাক পরান এবং নাম ঠিকানা জানার চেষ্টা করেন। স্থানীয় দের দাবি নাবালিকা তাদের জানিয়েছে তার বাড়ি সিঙ্গুরের নসিবপুরের খাল ধার এলাকায়। সিঙ্গুর থেকে টিউশন পরে বাড়ি ফেরার সময় হটাৎ করেই তাকে একটি চার চাকা গাড়িতে তুলে নেয় কয়েক জন এর পর কি হয়েছে তার আর মনে নেই।
পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গুরের একটি স্কুলে নবম শ্রেণীতে পরে ওই নাবালিকা। স্কুলের পাশেই এক গৃহ শিক্ষকের কাছে টিউশন পরে, আজ টিউশন শেষে নসিবপুরে বাড়ি ফেরার জন্য সিঙ্গুর স্টেশনে যায় ট্রেন ধরার জন্য এর পর আর বাড়ি ফেরেনি বলে দাবি পরিবারের। তার পর থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। পরে হরিপাল এলাকা থেকে কেউ নাবালিকা ছাত্রীর বাড়িতে ফোন করে ঘটনার কথা জানালে হরিপাল হাসপাতালে আসে পরিবারের লোকজন।
ছাত্রীর সঙ্গে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলে কয়েকজন পুলিশের সামনেই দোষীদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ শুরু করে। হুগলি গ্রামীন পুলিশের পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,মামলা রুজু করা হচ্ছে।মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে।ঠিক কি হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে হরিপালে কি করে এলো মেয়েটি সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এর সাথে কেউ জড়িত আছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন।