দুর্গাপুর, ২৮ আগস্ট:- নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে দুর্গাপুরে ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকা মিছিলের উপর হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রের রূপ নিল দুর্গাপুরে প্রাণ কেন্দ্র সিটি সেন্টার এলাকা। ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র্যাফ। একইসঙ্গে বোমাবাজি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে সিপিএম এর দলীয় দপ্তরে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ এদিন বিকেলে আর গি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষনের ঘটনার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় ডিওয়াইএফআই। তাদের মিছিল দুর্গাপুর নগর নিগম সাংলগ্ন এলাকায় এলে তাদের সাথে বচসা বাধে তৃণমূল সমর্থকদের। ক্রমেই তা হাতাহাতির রূপ নেয়। লাঠি হাতে বামেদের মিছিলে ঝাপিয়ে পড়ে তৃণমূল সমর্থিত দুষ্কৃতীরা বলেই অভিযোগ। শুরু হয় ইট বৃষ্টি। উভয় পক্ষকে সামলাতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশ কে। পুলিশের উপস্থিতিতে চলে বোমাবাজির মত ঘটনা।
পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে খানিক দূরে অবস্থিত সিপিএম এর জোনাল কার্যালয বিমল দাশগুপ্ত ভবনে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। দলীয় দপ্তরে ভাঙ্গচুর ও বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজন ডিওয়াইএফআই কর্মী জখম হন বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে ভাংচুর চালান হয় পার্টি অফিসে রাখা কর্মী সমর্থকদের বাইক স্কুটিতেও। ঘটনায় একে অপর কে দোষারোপ করছে বাম ও তৃণমূল কংগ্রেস।বাম নেতা বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী বলেন “ডিওয়াইএফআই এর মিছিলের ওপর তৃণমূল পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে আমাদের দলীয় কার্যালয়েও। পুলিশের সামনে এরকম ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ছিল নির্বিকার। তবে এর জবাব মানুষ দেবে। অপরদিকে, তৃণমুল নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “আমরা নিজেদের মতো মিছিল করে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের মিছিলের ওপর ডিওয়াইএফআই আর বিজেপি মিলে এই হামলা চালায়। আমাদের ৯ জন কর্মী জখম হয়েছে।” আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, “আমরা মামলা করে তদন্ত করবো। যারা যারা এই ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁদের চিহ্নিত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”