এই মুহূর্তে জেলা

মানকুন্ডু স্টেশনে রেল অবরোধকে ঘিরে ধুন্ধুমার, চলল লাঠি, চিয়ার গ্যাস।


হুগলি, ২৮ আগস্ট:- মানকুন্ডু স্টেশনের রেল অবরোধ কিরে ধুমধুমার, লাঠিচার পুলিশের, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ, অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ, ভোগান্তি যাত্রীদের বুধবার সকাল থেকেই রেল অবরোধে সামিল হয়েছে বিজেপি কর্মীরা। মানকুন্ডু স্টেশনের আপ ও ডাউন লাইনের এক ও দু নম্বর প্লাটফর্মে রেল অবরোধ করে বিজেপি। দুটি লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে লোকাল ট্রেন। প্রায় দু ঘন্টা ধরে চলছে অবরোধ। যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। অফিস টাইমে রেল অবরোধ হওয়ার ফলে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীরা ।আর জি করে তরুণী চিকিৎসক্কে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বুধবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্ধের ডাক দেয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বনধকে সফল করতে সকাল থেকেই পথে নামে বিজেপি কর্মীরা। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ট্রেন অবরোধ ছাড়া হাওড়া বর্ধমান মেন শাখায় ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বেলা একটু গড়াতেই মানকুন্ডু স্টেশনে অবরোধ শুরু করে বিজেপি কর্মীরা। পরে বিজেপির কর্মীদের পতাকা সরিয়ে দিয়ে জাতীয় পতাকা ট্রেনের সামনে লাগিয়ে দেয় সাধারণ মানুষ। যার জেরে প্রায় দু ঘন্টা ধরে চলতে থাকে অবরোধ। বিশাল পুলিশবাহিনী ও র‍্যাফ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে অবরোধকারীদের অবরোধ তোলার আহ্বান জানালেও পিছু হটতে নারাজ অবরোধকারীরা। সমস্যায় রেলযাত্রীরা। পড়ে একশনে নামে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। লাঠি চ্যাট করা হয় বলে অভিযোগ,পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। রীতিমতো খন্ড যুদ্ধ শুরু হয় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সাথে।

রেল যাত্রী অজয় মল্লিক বলেন, সকাল সাড়ে আটটা থেকে রেল অবরোধ চলছে, তাতে পুলিশের কোন ভূমিকা নেই। অফিস টাইমে রেল অবরোধ হওয়ায় আমাদের চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। স্টেশনে দেড় ঘন্টা ধরে বসে রয়েছি। নিত্যদিন অনেকের অনেক জরুরি কাজ থাকে তারা সেটা করতে পারছে না। চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন পিংকি ঘোষ রেল অবরোধের ফলে তিনিও আটকে পড়েছেন। তিনি বলেন, সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলাম হাড় ও চোখের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম কিন্তু এখানে এসে দেখি রেল অবরোধ হয়েছে। চোখে প্রচন্ড যন্ত্রণা হচ্ছে, ডাক্তার দেখাতেই হবে তাই নবদ্বীপ পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। এভাবে বিপদে পড়তে হবে বুঝতে পারিনি। এখন না পাচ্ছি বাড়ি ফিরতে না পারছি ডাক্তার দেখাতে যেতে। এখন কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। অন্যদিকে শ্রীরামপুর ও চন্দননগর স্টেশনে অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা।